ইমানুজ্জামান মহী এর ফেসবুক থেকে-ধর্ম সৃষ্টির পর থেকে ধর্ম নিয়ে হানাহানি চলছে। সেই থেকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ও কম হয়নি। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার সহজ পন্থা ধর্ম। হিন্দুদের মন্দিরে গোমাংস। মুসলমানের মসজিদে শুকরের মাংস রেখে বিবাদ ফাসাদ বাদিয়ে দেয়া আদিকাল থেকে চলে আসছে। বৃটিশ আমলে এ খেলা কম হয়নি। ধর্মেধর্মে তারা বিবাদ সৃষ্টি করাতো। ডিভাইড এন্ড রোল ছিল তাদের মূলমন্ত্র। এই মুলমন্ত্রের চুড়ান্ত পরিনতি ছিলো ভারত ভাগ। পাকিস্তান ও হিন্দুস্থান। গোত্রেগোত্রে আজো চলছে সেই থেকে হানাহানি। বৃটিশরা আর কিছু না পারুক তাদের কূটচালে ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্বটা খুব সুচারুরূপে ঠিকই লাগিয়ে গেছে।
হিন্দুদের মন্দিরে গোমাংস রাখা। মুসলমানদের মসজিদে শুকরের মাংস। নির্দ্ধিধায় বলা যায় এটা ভিন্নগোত্রের নয়,স্বগোত্রীয় কাজ। রাজনৈতিক কূটচাল। সম্প্রতি কুমিল্লায় যা ঘটেছে তাও এর ব্যতিক্রম কিছুনা। এটা হচ্ছে পুরানো খেলা। ইউটিউব, ফেসবুক কিংবা সোস্যাল মিড়িয়ায় এ নিয়ে যারা বেশী সোচ্চার। মারমার কাটকাট করছেন আসলে তারাই সুযোগ সন্ধানী। কাজটা নিঃসন্দেহে এদেরই স্বগোত্রীয় একজনের। কোন তত্ত্ব প্রমান ছাড়া উলটো এরাই কোন এক গোত্রকে কাটগড়ায় দাড় করিয়ে বিচারের মুখোমুখি ঠেলে দিচ্ছে। দূর্বলকে ঘায়েল করা সবলের পক্ষে যত সহজ সবলকে করা ততই কঠিন।
সম্প্রীতির দেশটাকে ধর্মানুভুতি ও স্পর্শকাতরতার সুযোগে সমাজকে অস্থিতিশীল করাটা হচ্ছে কিছু মানুষের মূল উদ্দেশ্য। সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যারা রাজনৈতিক ফায়দালোটতে চায় এ তাদের কাজ। আশা করি তদন্তে দুধ কা দুধ পানি কা পানি বের হয়ে আসবে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৭৪ বার