পুলিশের গুলিতে সৌদিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
জানা গেছে, শাহ পরান ১৪ বছর আগে এবং শামীম চার মাস আগে সৌদি আরবে যায়। এছাড়া আহত মাহাবুব আলম প্রায় ১৫ বছর আগে সৌদি আরবে গিয়েছিল বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানায়। তাদের মধ্যে শামীম আহমেদ ভৈরবে ব্রয়লার মুরগীর ব্যবসা করতেন। তার ৩ মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। দেশে ব্যবসা মন্দাভাব থাকায় তিনি মাহাবুবের মাধ্যমে সৌদিতে চাকরি করতে যান গত ৪ মাস আগে। এদিকে শাহ পরানরা ছয় ভাই ও দুই বোন। এর মধ্যে তার তিন ভাই সৌদি প্রবাসী। তারা তিনজন একসঙ্গে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে চাকরি করতেন। ঘটনার দিন শামীমের আকামা (পরিচয়পত্র) করতে তাদের কোম্পানির মালিকের গাড়ি নিয়ে তারা দাম্মাম থেকে আলকাতিফ শহরে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মাহাবুব আলম। তারা ওইদিন ভোরে দাম্মাম থেকে ছেড়ে সকাল সাড়ে ৯টায় আলকাতিফ শহরের কাছে পৌঁছে দেখতে পান রাস্তাঘাট ফাঁকা এবং কোনো লোক সমাগম নেই। তখন গাড়িটি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে সৌদি পুলিশ তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে শাহ পরান ও শামীম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর গাড়িচালক মাহাবুব গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর জানা গেছে, ওই শহরে শিয়া-সুন্নিদের সংঘর্ষে কারফিউ জারি ছিল। তারা গাড়ি নিয়ে কারফিউ এলাকায় ঢুকে পরলে সৌদি পুলিশ তাদেরকে গুলি করে।
তবে কেউ কেউ বলছে, সৌদি পুলিশ তাদের গাড়িকে থামানোর জন্য সিগনাল দেয়। কিন্তু সিগনাল অমান্য করে গাড়িটি চলে যেতে চাইলে পুলিশ গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে এ ঘটনাটি ঘটে। দাম্মাম শহরে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজন ৪ দিন খোঁজ করার পর গত শনিবার রাতে ঘটনার খবর পান তারা। পরে রোববার সকালে দেশের বাড়িতে খবর দেয় তারা। তাদের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন নিহতদের পরিবার।