বার্তা ডেক্সঃঃপুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পেশী শক্তি নয়, আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং জনগণকে সেবা দেয়া যায়। তাই পুলিশের দুর্নীতির বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বেনজীর আহমেদ বলেন, শুরুতে মোটিভেশনাল এক্টিভিটিস এবং ডিসিপ্লিন নিয়ে কাজ করছি। আর দ্বিতীয় হচ্ছে পুলিশে ‘ব্রুটালিটি’ বা নিষ্ঠুরতা আমরা চাই না। আমরা চাই না পত্রপত্রিকায় পুলিশের ব্রুটালিটি নিয়ে খবর ছাপা হোক। আমরা খবর হতে চাই না। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে অসংখ্য আইনগত ক্ষমতা রয়েছে।
যেখানে আইনগত ক্ষমতা রয়েছে তাহলে কেন পেশী শক্তি ব্যবহার করতে হবে? মাথা ও বিবেকের শক্তি, আইনের শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বেনজীর আহমেদ বলেন, “ভালো কাজের উৎস চাই এবং যে সদস্য খারাপ কাজ করবেন তা বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরবেন সাংবাদিকরা, তাও চাই। বিচারের আগে বিচার করবেন না। অনেক সময় আমরা দেখি যে বিচারের আগে বিচার শেষ। গতকালও একটি প্রতিবেদন দেখেছি কিন্তু বেশিরভাগ তথ্য সঠিক ছিল না। কিন্তু সমস্যা হলো আপনি যখন একটি জিনিস ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে দেখিয়ে ফেলেন তখন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ দেখেন বাংলাদেশের বাইরে প্রচুর মানুষ দেখেন। যখন আপনি লিখেন তখন কোটি কোটি মানুষ তা পড়েন, কারেকশন দেয়া হলেও।
সাংবাদিকরা কোটি কোটি মানুষকে ‘মোটিভেট’ করতে পারে জানিয়ে আইজিপি বলেন, সাংবাদিকরা ওপিনিয়ন বিল্ড করেন এবং সমাজের গতিপ্রকৃতি অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে যায়। যেহেতু আপনারা ওপিনিয়ন বিল্ডার, মুহূর্তের মধ্যে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করতে পারেন, সেজন্য আপনাদের কলমের যে শক্তি সে শক্তি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন থাকবেন এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। আইজিপি বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীতে যদি কেউ খারাপ কাজ করেন, সে অন্য কাজের জন্য ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রে চরম নিষ্ঠুরতা দেখানো হয়। আবার যদি ন্যায় ও ন্যায্য সংক্রান্ত সাহায্য প্রয়োজন হয়, তখন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।
আগামীতে বাংলাদেশের অর্থনীতিসহ সবদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রযাত্রায় আমাদের সব ক্ষেত্রেই শুদ্ধতা দরকার। তাই আমরা নিজেদের ঘরের ভেতর থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে চাই। আমরা চেষ্টা করছি আগে নিজেদের ঘরকে শুদ্ধ করতে, দুর্নীতি মুক্ত করতে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা কঠোরভাবে কাজ করছি। পুলিশের মধ্যে যদি কোনো মাদকসেবী থাকে তাহলে তাকে বাহিনী থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে।
আমরা রেনডমলি ডোপ টেস্ট করছি। পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। আমরা আমাদের ঘর পরিচ্ছন্ন করতে চাই। এ ছাড়া কেউ মাদক সেবন কারেন না কিন্তু মাদকের সঙ্গে জড়িত, এমন পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদেরও চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রেও আমরা শূন্য সহিষ্ণুতা বাস্তবায়ন করতে চাই।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৪৮ বার