হিল্লোল পুরকায়স্থ আসন্ন দিরাই পৌর নির্বাচন কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রার্থীদের মাইকে প্রচারণায় অতিষ্ঠ পৌরবাসী। শুক্রবার সরেজমিন দিরাই পৌরসভার থানা পয়েন্টে দেখা যায় পাঁচ,ছয় জন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর একি সাথে মাইকের উচ্চ শব্দে প্রচারণায় অতিষ্ঠ হয়ে পথচারী ও ব্যবসায়ীরা কানে হাত চাপা দিয়ে ধরে রেখেছে। তাৎক্ষণিক দিরাই মধ্যবাজারে গিয়ে দেখা যায় একি অবস্থা কয়েক জন ব্যবসায়ী ও পথচারী মাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে কানে হাত চাপা দিয়ে রেখেছে।

সরেজমিন দিরাই পৌরসভার বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে কথাবল্লে তারা জানান, মেয়র প্রার্থী ৮ জন আর অসংখ্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের কয়েক সেট মাইক নিয়মিত দাফিয়ে বেড়াচ্ছে বাজার এলাকা। আর তারা প্রচারণায় অতিরিক্তমাত্রায় মাইক ব্যবহার করছেন। একি সাথে তিন থেকে ৪/৫/৬ জন প্রার্থীর প্রচারণা মাইকে একি সাথে করায় কানে, মাথায় ব্যাথা ধরে গেছে। আর ৫ মিনিটের জন্য মাইকে প্রচারণা বন্ধ হচ্ছেনা। এক রিকশা মাইক নিয়ে প্রচারণা করে যেথে পারছেনা তার পিছনে অন্য প্রার্থীর প্রচারণার মাইক হাজির। সব মিলিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহরে উচ্চ শব্দে রাত-দিন মাইকিং চলছে। মাইকিংয়ের আওয়াজে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। এতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।’ আর নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় প্রার্থীরা মাইকে প্রচারণা আর বেশি চালিয়েছে।

পৌর সদরের শাহিন আহমদ জানান,পৌর নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণায় তারা অতিরিক্ত মাইক ব্যবহার করছে। মাইকের আওয়াজে বাচ্ছারা ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠছে। সেই সাথে রাতের বেলায় মাইকিংয়ের আওয়াজে ছাত্র,ছাত্রীদের পড়ার মনোযোগ নষ্ট করে দিচ্ছে। ব্যবসায়ী রুকনুজ্জামান জহুরী বলেন, মাইকের আওয়াজে দমবন্ধ হয়ে আসে। মনে হয় ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে বাড়ীতে গিয়ে বসে থাকি।

এদিকে এই পরিস্থিতিতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. রশিদ মিয়া রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে মাইকে প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, জনসেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসে জনদূর্ভোগ দিয়ে শুরু করাটা বেমানান। আসলে মাইকিংয়ের কারণে মানুষের খুব বেশী সমস্যা হচ্ছে। এমতাবস্থায় দেখে লজ্জায় বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন অন্য প্রার্থীরাও এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে আসবেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn