প্রতারনা মাম্লাঃ রাগীব আলী ও তার ছেলের ১ বছরের কারাদণ্ড
সংবাদদাতা-প্রতারণার মাধ্যমে পত্রিকা প্রকাশের মামলায় সিলেটের বিতর্কিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সিলেটের মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এ দণ্ডাদেশ দেন। একইসাথে দুই আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাগীব আলী ও আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার অভিযোগে রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেন মামলার বাদী। আদালত ওইদিন মামলাটি আমলে নিয়ে দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। তবে সমন পাওয়ার পর জবাব না দেয়ায় পরের মাসে রাগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সিলেটের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলের অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গতবছরের ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাই ভারতে পালিয়ে যান। সেই সময় রাগীব আলী ‘সিলেটের ডাক’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এবং তার ছেলে আবদুল হাই সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পরে আব্দুল হাইকে সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হলেও রাগীব আলী স্বপদে আছেন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন একই আদালত। এদিকে, প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলে করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারন করা হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। এ মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলেসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতে ‘অনাস্থা’ রাগীব আলীর আইনজীবীর, রায়ে সন্তুষ্ট বাদীপক্ষ
প্রতারণার মাধ্যমে পত্রিকা প্রকাশের মামলায় সিলেটের বিতর্কিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে তার ছেলে আবদুল হাইকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে আপত্তি ও অনাস্থা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। অপরদিকে, রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সিলেটের মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এ দণ্ডাদেশ দেন। একইসাথে দুই আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার আসামি রাগীব আলী ও তার ছেলের আইনজীবী আব্দুল মুকিত অপি বলেন, আদালতের উপর আমরা অনাস্থা এনেছিলাম। আমরা শুনানিতে অংশ নেইনি। আজ রায় ঘোষণার সময়ও আমরা আদালতে উপস্থিত ছিলাম না। এ ব্যাপারে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আশা করি সেখানে ন্যায়-বিচার পাবো। মামলার বাদী গিয়াস উদ্দিন তালুকদার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমরা সন্তুষ্ট।বাদীর আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জনস্বার্থে মামলাটি করা হয়েছিলো। এই রায়ে প্রমাণ হলো কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাগীব আলী ও আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার অভিযোগে রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেন মামলার বাদী।আদালত ওইদিন মামলাটি আমলে নিয়ে দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। তবে সমন পাওয়ার পর জবাব না দেয়ায় পরের মাসে রাগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।সিলেটের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলের অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গতবছরের ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাই ভারতে পালিয়ে যান। সেই সময় রাগীব আলী ‘সিলেটের ডাক’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এবং তার ছেলে আবদুল হাই সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পরে আব্দুল হাইকে সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হলেও রাগীব আলী স্বপদে আছেন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন একই আদালত।এদিকে, প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলে করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারন করা হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। এ মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলেসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।