প্রবাসীকে হত্যার পর বাথরুমে লাশ ফেলে দেন স্ত্রী-সন্তান!
বার্তা ডেস্ক :: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে জামাল হোসেন নামে সৌদি প্রবাসীকে তার স্ত্রী-সন্তানেরা হত্যা করেছেন। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর লাশ ফেলে দেন বাথরুমে। এরপর আশপাশের লোকজনদের ডেকে এনে হৃদরোগে প্রচার করে দ্রুত লাশ দাফনের চেষ্টা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবতাবুজ্জান ও কাউছার আলমের পৃথক দুটি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে এমন জবানবন্দি দিয়েছেন নিহত প্রবাসী জামাল হোসেনের স্ত্রী শারমিন আক্তার ডলি (৫০), ছেলে তানভীর হাছান ডালিম (১৮) ও মেয়ে সামিয়া বেগম (২৭)। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার ভোরে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে প্রবাসী জামাল হোসেনকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর রক্তাক্ত অবস্থায় জামাল হোসেনের লাশ দাফন করার চেষ্টা করেন। এসময় খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে নিহতের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জামাল হোসেনকে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনজনই। জামাল হোসেনের দুই মেয়ে এক পুত্র সন্তান। সন্তানদের মধ্যে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে এবং ছেলে বাসায় থাকেন। এলাকাবাসী জানায়, দেড় বৎসর পূর্বে জামাল হোসেন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর বিদেশে যায়নি। বুধবার রক্তাক্ত অবস্থায় জামাল হোসেনকে দ্রুত দাফনের চেষ্টা করে তার স্ত্রী শারমীন আক্তার ও ছেলে-মেয়ে। বিষয়টি সন্দেহ হলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। নিহতের মাথার তালুতে দুটি রক্তাক্ত আঘাত ছিল। সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ