মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ওমান প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননীকে অর্ধনগ্ন করে লাঠিপেটার ঘটনায় জড়িত মোলাইম খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) মধ্যরাতে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের কলিমাবাদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে আজ শনিবার তাকে মৌলভীবাজার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।  এদিকে আগামীকাল রোববার (১৯ মে) আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  আটককৃত মোলাইম খান (৪৫) ছয় সন্তানের জনক ও তার দুটি স্ত্রী রয়েছে। সে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উজানপাড়া গ্রামের মৃত সরল খানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মোলাইম খানের ঘরে দুই স্ত্রী রয়েছে ও ৬ সন্তানের জনক সে। এছাড়াও তিনি আরো দুই নারীকে বিয়ে করেছিলেন। কিছুদিন সেই দুই স্ত্রী পরে তাকে ছেড়ে যান। এলাকায় মোলাইম খানের একাধিক বিয়ে করার প্রবণতার ব্যাপারে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে।

সবশেষ প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননীকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিয়ের কাগজ তৈরি করে নিজেকে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর স্বামী দাবি করে প্রায়ই উত্যক্ত এবং নির্যাতন করতো। গত ১৩ মে সোমবার প্রবাসীর বাড়িতে গিয়ে ওই নারীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন বিয়ে পাগল মোলাইম। পরে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।  এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী কুলাউড়া থানায় পরদিন মোলাইম খানকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ বিষয়টি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। এদিকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কুলাউড়া থানা পুলিশ মোলাইমকে আটকের জন্য তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। এরই একপর্যায়ে শুক্রবার গভীর রাতে তাকে আটক করেন কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এবিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn