‘প্রশ্ন জোগাড়ের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’
প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্ন সংগ্রহের চেষ্টা করলে পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়। এমনটি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-ডিএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম। ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুর ১টায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে আটক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, গ্রেফতাররা জঙ্গিদের ব্যবহৃত টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের পরিকল্পনা করছিল। চক্রটি মূলত প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্য চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত তা না পারলে নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়। গোপন সংবাদ পেয়ে মগবাজার নয়াটোলা মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন মো. শহিদুল ইসলাম (১৮) ও মো. গোলাম সরোয়ার সাজিদ (১৮)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট ও সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতাররা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে আইটি ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন নামে ফেসবুক ফেইক আইডি, ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ, হোয়াটস আ্যাপ এর মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে আসছিল। শেখ নাজমুল আলম বলেন, গ্রেফতাররা এসএসসি, এইচএসসি-২০১৭ ও মেসেঞ্জারে এইচএসসি- ২০১৭ এর অ্যাডমিন। গোলাম সরোয়ার সাজিদ মেসেঞ্জারে হ্যালো ব্রাদার্স গ্রুপ এর অ্যাডমিন হিসেবে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে শতভাগ প্রশ্ন কমন দিবে মর্মে স্ট্যাটাস দিত। এছাড়াও তারা একেক পরীক্ষার জন্য একেক মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে ভুয়া প্রশ্ন শেয়ার করত। তাদের আরো অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।