হাবিবুর রহমান হাবিব, শাল্লা:: চারদিকে বর্ষার পানিতে যখন ভাসছে চারপাশ,কৃষকের কষ্টের ফসল যখন ভেসে চলেছে বন্যার পানিতে তখন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও ড. জয়াসেন গুপ্তা দম্পত্তির একমাত্র সন্তান কানাডা থেকে টেলিকমিউনিকেশনে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে আসা সৌমেন সেন সেই সব কৃষকের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি বিভিন্ন বাঁধে শুকনো খাবার, বাঁশ, বস্তা, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। ৫ এপ্রিল শাল্লা উপজেলার- গ্রাম শাল্লা, শ্রীহাইল, ইছাকপুর, সহদেবপাশা, খল্লী, কান্দিগাঁও, দিগলবন, শাসখাই,আহসানপুর,চাপটা,মউতি,ছায়া উপ-প্রকল্প,মাদারিয়া খাল,কুইশাইলদাইর সহ বিভিন্ন বাঁধ পরির্দশন করেন। পরির্দশনকালে কৃষকদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির কারনে নদীতে যে পানি এসেছে, তাতে সবগুলো বাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে গেছে। বাঁধগুলো না থাকলে সব ফসল তলিয়ে যাবে। গ্রাম বাংলার মেহনতি মানুষ তথা কৃষকদের সারা বছরের কষ্ট সব বিফলে যাবে। এই অবস্থ্যা জানা সত্বে ও ঠিকাদারদের গাফিলতির কারনে কোন বাঁধের কাজই সঠিক ভাবে হয়নি। আমি বিভিন্ন বাঁধে এলাকার লোক জনকে স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করতে দেখেছি। খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষগুলোকে দিন রাত বাঁধ পাহাড়া দিতে দেখেছি। তাদের কষ্টের দিনে পাশে থাকতে পেরে আমার ভাললেগেছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করা খুবই কঠিন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সুনামগঞ্জের মানুষের এই অবস্থা বিবেচনা করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে দূর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষনা করার দাবি জানান। পরির্দশনকালে তার সাথে ছিলেন, শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল লেইছ চৌধুরী, যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু, হুমায়ুন আহমেদ প্রমূখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn