প্রিয়া ‘হ্যাঁ’ বলে আবার অভিযোগ শুরু করেন, ‘এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু আছেন। আমার অনুরোধ প্লিজ আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। আমাদের শুধু থাকতে সাহায্য করুন।’ প্রিয়া নিজের পরিস্থিতি নিয়েও ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, ‘আমি ঘর হারিয়েছি। তারা জমি দখল করেছে। কিন্তু এখনো কোনো বিচার হয়নি।’ দখলকারীরা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন বলেও দাবি করেন প্রিয়া। প্রিয়ার এই বক্তব্য শুনে শাহরিয়ার আলম ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে পৃথিবীর সব দেশের এবং বাংলাদেশ ও বাইরের দেশের এনজিওদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেখানে শ্রদ্ধেয় রানা দাশ গুপ্তর মতো মানুষেরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগের মতো কোন অভিযোগ বা প্রশ্ন কাউকে করতে দেখিনি।’ ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পও জানেন যে তার কাছেও মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাদের এখানকার দূতাবাসের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত তথ্য পেয়ে থাকে এবং আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগে থাকি।’ প্রিয়া সাহার সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমালোচনা করছেন। এটাও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ধরনের কাজ থেকে সবাইকে দূরে থাকার আহ্বান জানান শাহরিয়ার আলম, ‘ধর্মীয় সম্প্রতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। অনেকেই ব্যক্তি স্বার্থে বা না বুঝে এটার ক্ষতি করে ফেলেন। সবার উচিত এইধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা।’