প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক তরুণীকে জঙ্গলে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফটিকছড়ির ভুজপুর থানার নারায়ন হাট ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করার পর নির্যাতিত ওই নারী বাদী হয়ে রবিবার ভূজপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারি সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটলেও জানাজানি হয় শনিবার রাতে। পুলিশ জানতে পারে তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রোববার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো- ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মো. পারভেজ (২৫), নুরুল হুদার ছেলে মো. ইয়াছিন (২৩), নুরুল ইসলামের ছেলে মো. ফরিদ (৩১), হাবিবুর রহমানের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৮) এবং বজল আহমদের ছেলে আবুল মনসুর (৪০)। তারা সবাই উপজেলার ভুজপুর থানার বাসিন্দা। ফটিকছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুর ইসলাম জানান, ওই তরুণীর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালায়। তবে মা-বাবার সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীতে থাকেন এবং একটি কারখানায় চাকরি করেন। ওই তরুণীর সঙ্গে ফকিটছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নের বাসিন্দা এক অটোরিকশাচালক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা ওবায়দুর বলেন, ওই যুবকের পরিবার মেয়েটিকে দেখতে চেয়েছিল। তাই মেয়েটি ফটিকছড়িতে আসে। ওই যুবক ও তার এক বন্ধুর সঙ্গে শুক্রবার মেয়েটি ফটিকছড়ি আসে। তারা ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ন হাটের ফটিকছড়ি-মিরসরাই সড়কে তিনটি মোটর সাইকেলে করে এসে তাদের পথরোধ করে এবং ফরেস্ট এলাকার ভেতরে নিয়ে সঙ্গী দুই যুবককে আটকে রেখে ওই তরুণীকে ৮ জনে মিলে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং দু’জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে ও পরে অভিযান চালিয়ে আরো ৩ জনকে আটক করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা ওবায়দুর বলেন, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে মনসুর এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি ওই তরুণীকে থানায় আনার কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই তরুণীর প্রেমিকের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে। গ্রেপ্তার আসামিদের সোমবার (৯ নভেম্বর) আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান পরিদর্শক ওবায়দুর।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৪৬ বার