বার্তা ডেস্ক :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গত রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার তিনজন হলেন- ঘোড়াঘাটের ঘুঘুরা (ভোতরা পাড়া) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে নাইটগার্ড এবং ছদ্মবেশী প্রেমিক লাবু মিয়া (২৮), একই গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রী আশরাফুল ইসলাম (৩৫) এবং ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বাউপুকুর গ্রামের বেল্লাল হোসেনের ছেলে রাজমিস্ত্রী ওমর ফারুক (২১)।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাটের পৌর শহরের বাউপুকুর গ্রামের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওই কিশোরীর (১৭) সঙ্গে রাজু নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে আসামি লাবু মিয়া কৌশলে কিশোরীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে তিনি কিশোরীকে ফোনে রাজু পরিচয় দিয়ে একাধিকবার কথা বলেন। গত শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে ওই কিশোরীকে বাড়ির পাশে আব্দুর রহমানের লিচু বাগানে দেখা করতে ডাকেন লাবু মিয়া। তার কথা অনুযায়ী বাগানে গিয়ে প্রেমিক রাজুর পরিবর্তে অন্য যুবককে দেখে চিৎকার করে ওই কিশোরী, এবং দৌঁড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন লাবুসহ তিন আসামি ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

কিশোরীর মা জানান, এই তিন আসামি তাদের বাড়ির পাশের লিচু বাগানে গাঁজা সেবন করতে আসতেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। অনেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের লিচুর বাগান থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে মেয়ের মুখে পুরো ঘটনা শুনে থানায় গিয়ে মামলা করেন। গ্রেফতার হওয়ার আগে আসামিরা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছিলেন। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, রোববার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীকে নিয়ে তার মা থানায় এসে মামলা করেন। মামলার পর রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনার বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অধিকতর তদন্তের জন্য ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডিএনএ টেস্ট করানো হবে বলেও জানান তিনি।- জাগো নিউজ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn