সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ফাইল ছবি-
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই কিছু ব্যক্তিগত কাহিনী থাকে তবে রাজনীতি যারা করে তাদের ব্যক্তিগত বলে কিছুই আর থাকে না। হ্যাঁ আমিও ব্যক্তিগত জীবনে স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ ছাত্রজীবনে একাধিকবার প্রেমে জড়িয়েছিলাম। হয়তো আমি যোগ্য ছিলাম না কিংবা আমার সাথে মতের মিল হচ্ছিলো না এজন্য প্রেমের সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটেছিলো। প্রেমের সব সম্পর্কই বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় না; হয়তো আমার ক্ষেত্রেও গড়ায়নি। বিধাতা যাকে যার কপালে রেখেছে জীবনসঙ্গী হিসেবে তার সাথেই তার হবে। মানুষ ২০ বছর সংসার করার পরও সংসার ভেঙে যায় সুতরাং ভাগ্য লাগে। শেষ পর্যন্ত কলেজ জীবনে যাকে ভালোবাসার কথা কোনদিন মুখফুটে বলতে সাহস পাইনি আল্লাহ অনেক পরে সকল ব্যর্থতার অবসান ঘটিয়ে তাকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে উপহার দিয়েছে।
আমরা একে অপরকে ভালোবাসি সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে। রাজনীতির পদবী বাঁচাতে গিয়ে যারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেছে খোঁজ নিয়ে দেখুন কেউ ব্যক্তিগত জীবনে ভালো নেই হয়তো তাদের পদবী আছে ধনসম্পদ আছে কিন্তু শান্তিটা নেই। কিন্তু আমি বেছে নিয়েছি শান্তির পথ। হ্যাঁ পৃথিবীর সবচাইতে সুখী স্বামী যদি কেউ থাকে সেটা আমি পৃথিবীর সবচাইতে কোন সুখী বাবা যদি থাকে সেটা আমি। এবং আমি অনেক সৌভাগ্যবান যে আমার ছাত্রজীবনের না বলার ভালোবাসাকে আমি আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি।
ব্যক্তিগত কাহিনী ফেসবুকে বলতে চাইনি। বলতে বাধ্য হচ্ছি, অনেকের কৌতূহলের কারনে। কিছুদিন পূর্বে কেউ কেউ আমার স্ত্রীর অতীতের কিছু ছবি দিয়ে আমার মেয়ের জন্মদিনে টিপ্পনি কেটেছেন তাতে আমার কিছু যদিও যায় আসে না। হ্যাঁ আমার স্ত্রীর অতীতে সংসার হয়েছিলো কিন্তু যে কোন কারনে সেটা টিকেনি। এবং আমি সব জেনেশুনেই তাকে বিয়ে করেছি। ঠিক তেমনি, তাকেও আমি জীবনের সব প্রেমের এবং প্রেমিকাদের কথা খোলাসা করে বলেই আমরা বিয়ে করেছি। এবং আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি যে আমাকে আল্লাহ এতো ভালো একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে উপহার দিয়েছেন বিকজ আই নেভার ডিজার্ভ হার ( আমার স্ত্রী কে )।
আমরা আমাদের বিবাহিত জীবনে সুখী। আমি প্রাউড ফিল করি আমার স্ত্রী , কন্যার জন্য যে তারা আমার জীবনের জন্য আশীর্বাদ। আমার স্ত্রী আমার জীবনের সেরা বন্ধু, তেমনিভাবে আমিও তার সেরা বন্ধু। আমাদের হয়তো জৌলুস কিংবা চাকচিক্যতা নেই তবে আছে অনাবিল সুখ। সাত আট কিংবা ১২ বছর আগের প্রেম সংক্রান্ত কিছুই মনে রাখতে চাইনা আর যারা ক্ষতি করার আশায় কারও দ্বারা প্ররোচিতো হয়ে নোংরামিগুলো করছেন আপনাদের জন্য করুণা। সুখী হয়ে সবাই যেমন জন্মগ্রহন করেনা ঠিক তেমনভাবে সুখ খোজে বের করে নিতে হয়। ১৬ বছর আগের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুটিই যে আমার সুখের কেন্দ্রস্থল ছিলো তা জ্বল এতদূর না গড়ালে জানতামি না। আমার সুখ কে খোঁজে বের করতে হয়েছে। আমার স্ত্রীর নাম সিদ্দিকী ফারসিনা হোসেন এবং আমার কন্যার নাম সিদ্দিকী মাহ্ভীন আলম। যারা আমাকে স্নেহ করেন ভালোবাসেন সম্মান করেন বড় ছোট সবার কাছেই আমি আমার পরিবারের জন্য দোয়া চাই। আমি ভীষন ক্লান্ত হয়ে গেছি, শুধু আঘাত ঠেঁকাতে ঠেঁকাতে। কখনো রাজনৈতিক, কখনো সামাজিক, কখনো গুজব, কখনো ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রতিনিয়ত করেই যাচ্ছেন কেউ কেউ। আল্লাহ আপনাদের সুমতি দান করুন। লেখক: সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬২ বার