বার্তা ডেস্ক :: প্রায় আড়াই মাস আগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার গঙ্গাশ্রম এলাকার জোড়া ব্রিজের নিচে লাগেজের ভেতর থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অজ্ঞাত লাশে পরিচয় সনাক্ত এবং মৃত্যুর কারণ জানতে পারছিলেন না তদন্ত দল। পরে লাগেজের ভেতর পাওয়া একটি প্রেসক্রিপশনের সূত্র ধরে লাশের পরিচয় সনাক্ত করে মামলার তদন্তপ্রাপ্ত পিবিআই।

লাশটি ছিল সাবিনা এক গৃহকর্মীর। ময়মনসিংহ নগরীর তৈমুর টাওয়ারে থাকার এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও তার স্ত্রী তাদের বাসার গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করে। লাশ গুম করার উদ্দেশে লাগেজে ভরে গৌরীপুর এলাকায় ফেলে আসে তারা। পিবিআই এ ব্যাপারে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সোহাগ ও তার স্ত্রী জেসিকে গ্রেপ্তার করেছে।  গ্রেপ্তারকৃতরা গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পিবিআই এর ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার গৌতম কুমার নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

পিবিআই সূত্র জানায়, নিহত গৃহকর্মী সাবিনা বাড়ি সদর উপজেলার উজান ঘাঘরা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সিরুর মেয়ে। ৩-৪ বছর আগে সাবিনা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সোহাগের বাসায় কাজে আসে। কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সাবিনাকে নির্যাতন করতেন সোহাগ ও তার স্ত্রী জেসি। গত ৮ নভেম্বর সাবিনাকে নগরীর তৈমুর টাওয়ারে খুন করা হয়। এরপর তার লাশ লাগেজে করে গৌরীপুর এলাকার গঙ্গাশ্রম এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। লাগেজে কয়েকটি ইটের টুকরাও ঢুকানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আবুল কাশেম, জানান, লাগেজের ভেতর পাওয়া যায় একটি প্রেসক্রিপশন। তার সূত্র ধরে গত বুধবার রাত ৮টার সময় ময়মনসিংহ শহরের বারেরা এলাকা থেকে আব্দুল কদ্দুসের ছেলে আবুল খায়ের মো. জাকির হোসেন ওরফে সোহাগ (৪৪) এবং তার স্ত্রী রিফাত জেসমিন ওরফে জেসিকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে গৌরীপুরের গঙ্গাশ্রম এলাকার জোড়া ব্রিজের নিচে পাওয়া লাগেজবন্দি অজ্ঞাত মেয়ের হত্যাকাণ্ডের রহস্য।-কালের কণ্ঠ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn