ফেভারিট ইংল্যান্ডের সামনে শক্তিশালী দ. আফ্রিকা
আল-মামুন- চার বছরের পরিকল্পনা ও চার বছরের প্রস্তুতি বাস্তবায়নের মঞ্চ তৈরি। ৪৪ বছরের না পাওয়ার বেদনা ঘোচাতে মুখিয়ে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে সবশেষ সাত আসরে অংশ নেয়া দক্ষিণ আফ্রিকা তিনবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ে ‘চোকার’ খেতাব ঘোচাতে বদ্ধপরিকর। আজ ইংল্যান্ডের ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্বকাপের ১২তম আসরের পর্দা উঠছে। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবার বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। ১৯৯৯ সালের পর ২০ বছরের ব্যবধানে ফের বিশ্বকাপের আয়োজক ইংলিশরা। বিশ্বকাপের গত ১২ আসরে তিনবার ফাইনালে খেলেও শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ১৯৯২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দক্ষিণ আফ্রিকা। সবশেষ সাতটি বিশ্বকাপে চারবার সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যায়।
হেড টু হেড
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা উভয় দল অতীতে ৬টি ম্যাচে অংশ নেয়। এর মধ্যে উভয় দল তিনটি করে ম্যাচ জয় পায়। হেড টু হেডের বিচারে উভয় দল সমানে সমান। তবে সম্প্রতি পারফরম্যান্স, কন্ডিশন, আবহাওয়া এবং উইকেট বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে একধাপ এগিয়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তবে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এর আগে সবমিলে ৭২ ম্যাচ খেলে। তার মধ্যে ৪১টিতে জয় পায় আর ২৯টিতে হেরে যায়। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে এর আগে ৫৫ ম্যাচ খেলে ৩৫টিতে জয় পায় আর ১৮টিতে হেরে যায়।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স
বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম করে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৪-০তে জয় পান ইংলিশরা। একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক দুই প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড একটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করেও ১২ রানে হেরে যায়। অন্যটিতে আফগানিস্তানের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পায়। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩৩৮ রান করে ৮৭ রানের জয় পায়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটি শুরু হলেও বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। বিশ্বকাপের আগেই কিংবদন্তি ক্রিকেটার এমনকি বিশ্বকাপের ১০ দলের অধিনায়করাও মানছেন এবারের ফেভারিট ইংল্যান্ড। ক্রিকেটের জন্মদাতা দেশটি বিশ্বকাপ জয়ে ইতিহাস গড়ায় প্রত্যয়ী। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলতে পারলে ট্রফির লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।
দুই অধিনায়কের ভাবনা
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ান মরগান বলেন, বিশ্বকাপ জয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ নিয়ে আমরা সবাই উত্তেজিত। আশা করছি জয়ে শুরু করতে পারব। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস বলেন, দল হিসেবে আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততে চাই। এটিই তো সবার চাওয়া। শুরুটা দুর্দান্ত করাই প্রথম লক্ষ্য।
ইংল্যান্ডের দল
ইয়ান মরগান (অধিনায়ক), মইন আলী, জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার, টম কারান, জো ডেনলি, অ্যালেক্স হেলস, লিয়াম প্লানকেট, আদিল রশিদ, জো রুট, জেসন রয়, বেন স্টোকস, ডেভিড উইলি, ক্রিস ওকস, মার্ক উড।
দক্ষিণ আফ্রিকার দল
ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, জেপি ডুমিনি, অ্যাডান মার্কওরাম, ডেভিড মিলার, ইমরান তাহির, ডেল স্টেইন, আন্দিল ফেহলুকাওয়ো, কাগিসো রাবাদা, ডোয়েন প্রিটোরিয়াস, আনরিচ নর্টিজ, লুঙ্গি এনডিগি, রাশি ভেন দার দাসুন ও তাব্রিজ শামসি।