ফের বঞ্চনার শঙ্কায় কয়েকশ’ কর্মকর্তা
প্রশাসনে আবারও তিন স্তরের (উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব) পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। উপসচিব পদে ২২তম ব্যাচ, যুগ্মসচিব পদে ১৩তম এবং অতিরিক্ত সচিব পদে নবম ও দশম ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। তাদের সঙ্গে এর আগে বঞ্চিত কিছু কর্মকর্তাকেও পদোন্নতি দেয়া হবে। গত রোববার অনুষ্ঠিত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) বৈঠকে উপসচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের খসড়া তালিকা করা হয়েছে। তিন স্তরে মোট সাড়ে তিনশ’র বেশি কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে এসএসবির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে এ পদোন্নতিকে ঘিরে আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছেন এর আগে পদোন্নতিবঞ্চিত সিনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তারা। তাদের কেউ কেউ বলছেন, যেহেতু প্রতিটি ধাপে বিপুলসংখ্যক পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তা লেফটআউট হিসেবে রয়েছেন তাই তাদের বিষয়টি পৃথকভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। তা না হলে নতুনদের সঙ্গে তাদের বিবেচনা করা হলে তদবিরের জোরে স্বল্পসংখ্যক কর্মকর্তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হতে পারে মাত্র। এতে ফের আরও এক দফা বঞ্চনার শিকার হতে হবে অনেক দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাকে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সেদিকে গড়ালে প্রশাসনে চাপা ক্ষোভ, অসন্তোষ আরও ঘনীভূত হবে। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা যুগান্তরের কাছে তাদের এমন শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন।
বিপরীতে এসব ধাপে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যারা প্রথমবারের মতো বিবেচিত হবেন বলে প্রত্যাশা করে আছেন তাদের মত ভিন্ন। যেমন অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি প্রত্যাশী নবম ও দশম ব্যাচের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, প্রশাসনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যুগ যুগ ধরে যে ধারাবাহিকতা চলমান আছে তাই হওয়া উচিত। অন্যদের জন্য তারা কেন সাফারার হবেন। আর প্রশাসনে প্রতিটি ধাপে সবাই তো পদোন্নতি পাবেন না। এটিই প্রশাসন পিরামিড় গড়ে তোলার স্বীকৃত নিয়ম। তারা বলেন, বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে বরং সব ধরনের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বেছে বেছে শুধু তাদের সমর্থকদের পদোন্নতি দেয়া হয়। এখন বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সরকারবিরোধী মানসিকতার চিহ্নিত অনেক কর্মকর্তাও পদোন্নতি পাচ্ছেন। তারা বলেন, যেহেতু তারা অতিরিক্ত সচিব হওয়ার সব যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাই তাদের পদোন্নতি স্বাভাবিক ও নির্বিঘœ হবে- এটিই তাদের প্রত্যাশা।
পদোন্নতি প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান বুধবার যুগান্তরকে বলেন, প্রশাসনের তিন স্তরের পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। উপসচিব পদে পদোন্নতির বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এর বাইরে যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির বিষয়েও যাচাই-বাছাই চলছে। লেফটআউট (বঞ্চিত) কর্মকর্তাদের বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কবে নাগাদ পদোন্নতি হতে পারে জানতে চাইলে ড. খান বলেন, ‘আরও কিছুদিন দেরি হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত বছরের ২৭ নভেম্বর প্রশাসনের তিন স্তরে উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে ৫৭০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয় সরকার। এর মধ্যে উপসচিব পদে ২২৭, যুগ্মসচিব পদে ১৯৫ এবং অতিরিক্ত সচিব পদে ১৪৮ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়। অভিযোগ আছে, পদোন্নতি দিতে গিয়ে এর দ্বিগুণের বেশি কর্মকর্তাকে সে সময় পদোন্নতিবঞ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, প্রশাসনে এবার তিন ধাপে পদোন্নতির মধ্যে এক ধাপের কাজ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। সূত্র মতে, গত রোববার এসএসবির এক বৈঠকে উপসচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ চূড়ান্ত হয়। এতে ২২তম ব্যাচের পদোন্নতিযোগ্য ২৪৬ জনের মধ্যে প্রায় ২০০ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়। এর আগে গত নভেম্বরে তিন স্তরে পদোন্নতি দেয়ার সময় ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের উপসচিব করার বিষয়টি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে আটকে যায়।
অপরদিকে এবার ১৩তম ব্যাচকে যুগ্মসচিব পদে এবং ৯ম ও ১০ম ব্যাচকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ১৩তম ব্যাচের ১৬৫ জন কর্মকর্তা যুগ্মসচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বহু আগেই। কিছু লেফটআউট কর্মকর্তাসহ প্রায় একশ’ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হতে পারে। প্রায় সমসংখ্যক যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন নবম ব্যাচের ৫২ জন এবং ১০ম ব্যাচের ১০২ জন যুগ্মসচিব। পদোন্নতির জন্য তাদেরই মূলত বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত ১৯৮২ বিশেষ ব্যাচের ১৮ জন, ১৯৮৪ ব্যাচের ৬৫ জন, ১৯৮৫ ব্যাচের ১৬৪ জন, ১৯৮৬ ব্যাচের ৩২ জনের মধ্য থেকে কিছু কর্মকর্তাকে এবার পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে এসএসবি সংশ্লিষ্টদের।
১৯৮৫ ব্যাচের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ‘যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আমার ব্যাচম্যাটরা অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন শেষে এখন সচিবের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। অথচ আমরা বঞ্চিতরা এখনও যুগ্মসচিব ও উপসচিব পদেই আছি। যদি আমাদের বাদ দিয়ে এখন কয়েক ধাপ নিচের জুনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সচিব করা হয়, তাহলে জ্যেষ্ঠতা হারাবেন আরও প্রায় তিনশ’ কর্মকর্তা। আর সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে কোথাও মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না। এ কথা মনে হলেই রাতে ঘুম আসে না।’
প্রায় একই ধরনের অনুভূতির কথা জানালেন ১৯৮৬ ব্যাচের অপর কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতিবঞ্চিত হয়ে আমার ব্যাচের ২০ জন এখনও উপসচিব পদে কর্মরত। এমনিতেই পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের কাছে আমাদের অপদার্থ বানানো হয়েছে। সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের বাদ দিয়ে ১৩তম ব্যাচকে যুগ্মসচিব করা হয় তাহলে তা হবে আমাদের সামাজিকভাবে হত্যা করার শামিল। এরপর ঘরে মধ্যে বসেই বাকি জীবন কাটাতে হবে।’
এদিকে এ পদোন্নতিকে ঘিরে আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছেন এর আগে পদোন্নতিবঞ্চিত সিনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তারা। তাদের কেউ কেউ বলছেন, যেহেতু প্রতিটি ধাপে বিপুলসংখ্যক পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তা লেফটআউট হিসেবে রয়েছেন তাই তাদের বিষয়টি পৃথকভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। তা না হলে নতুনদের সঙ্গে তাদের বিবেচনা করা হলে তদবিরের জোরে স্বল্পসংখ্যক কর্মকর্তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হতে পারে মাত্র। এতে ফের আরও এক দফা বঞ্চনার শিকার হতে হবে অনেক দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাকে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সেদিকে গড়ালে প্রশাসনে চাপা ক্ষোভ, অসন্তোষ আরও ঘনীভূত হবে। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা যুগান্তরের কাছে তাদের এমন শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন।
বিপরীতে এসব ধাপে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যারা প্রথমবারের মতো বিবেচিত হবেন বলে প্রত্যাশা করে আছেন তাদের মত ভিন্ন। যেমন অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি প্রত্যাশী নবম ও দশম ব্যাচের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, প্রশাসনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যুগ যুগ ধরে যে ধারাবাহিকতা চলমান আছে তাই হওয়া উচিত। অন্যদের জন্য তারা কেন সাফারার হবেন। আর প্রশাসনে প্রতিটি ধাপে সবাই তো পদোন্নতি পাবেন না। এটিই প্রশাসন পিরামিড় গড়ে তোলার স্বীকৃত নিয়ম। তারা বলেন, বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে বরং সব ধরনের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বেছে বেছে শুধু তাদের সমর্থকদের পদোন্নতি দেয়া হয়। এখন বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সরকারবিরোধী মানসিকতার চিহ্নিত অনেক কর্মকর্তাও পদোন্নতি পাচ্ছেন। তারা বলেন, যেহেতু তারা অতিরিক্ত সচিব হওয়ার সব যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাই তাদের পদোন্নতি স্বাভাবিক ও নির্বিঘœ হবে- এটিই তাদের প্রত্যাশা।
পদোন্নতি প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান বুধবার যুগান্তরকে বলেন, প্রশাসনের তিন স্তরের পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। উপসচিব পদে পদোন্নতির বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এর বাইরে যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির বিষয়েও যাচাই-বাছাই চলছে। লেফটআউট (বঞ্চিত) কর্মকর্তাদের বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কবে নাগাদ পদোন্নতি হতে পারে জানতে চাইলে ড. খান বলেন, ‘আরও কিছুদিন দেরি হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত বছরের ২৭ নভেম্বর প্রশাসনের তিন স্তরে উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে ৫৭০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয় সরকার। এর মধ্যে উপসচিব পদে ২২৭, যুগ্মসচিব পদে ১৯৫ এবং অতিরিক্ত সচিব পদে ১৪৮ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়। অভিযোগ আছে, পদোন্নতি দিতে গিয়ে এর দ্বিগুণের বেশি কর্মকর্তাকে সে সময় পদোন্নতিবঞ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, প্রশাসনে এবার তিন ধাপে পদোন্নতির মধ্যে এক ধাপের কাজ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। সূত্র মতে, গত রোববার এসএসবির এক বৈঠকে উপসচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ চূড়ান্ত হয়। এতে ২২তম ব্যাচের পদোন্নতিযোগ্য ২৪৬ জনের মধ্যে প্রায় ২০০ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়। এর আগে গত নভেম্বরে তিন স্তরে পদোন্নতি দেয়ার সময় ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের উপসচিব করার বিষয়টি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে আটকে যায়।
অপরদিকে এবার ১৩তম ব্যাচকে যুগ্মসচিব পদে এবং ৯ম ও ১০ম ব্যাচকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ১৩তম ব্যাচের ১৬৫ জন কর্মকর্তা যুগ্মসচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বহু আগেই। কিছু লেফটআউট কর্মকর্তাসহ প্রায় একশ’ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হতে পারে। প্রায় সমসংখ্যক যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন নবম ব্যাচের ৫২ জন এবং ১০ম ব্যাচের ১০২ জন যুগ্মসচিব। পদোন্নতির জন্য তাদেরই মূলত বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত ১৯৮২ বিশেষ ব্যাচের ১৮ জন, ১৯৮৪ ব্যাচের ৬৫ জন, ১৯৮৫ ব্যাচের ১৬৪ জন, ১৯৮৬ ব্যাচের ৩২ জনের মধ্য থেকে কিছু কর্মকর্তাকে এবার পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে এসএসবি সংশ্লিষ্টদের।
১৯৮৫ ব্যাচের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ‘যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আমার ব্যাচম্যাটরা অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন শেষে এখন সচিবের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। অথচ আমরা বঞ্চিতরা এখনও যুগ্মসচিব ও উপসচিব পদেই আছি। যদি আমাদের বাদ দিয়ে এখন কয়েক ধাপ নিচের জুনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সচিব করা হয়, তাহলে জ্যেষ্ঠতা হারাবেন আরও প্রায় তিনশ’ কর্মকর্তা। আর সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে কোথাও মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না। এ কথা মনে হলেই রাতে ঘুম আসে না।’
প্রায় একই ধরনের অনুভূতির কথা জানালেন ১৯৮৬ ব্যাচের অপর কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতিবঞ্চিত হয়ে আমার ব্যাচের ২০ জন এখনও উপসচিব পদে কর্মরত। এমনিতেই পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের কাছে আমাদের অপদার্থ বানানো হয়েছে। সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের বাদ দিয়ে ১৩তম ব্যাচকে যুগ্মসচিব করা হয় তাহলে তা হবে আমাদের সামাজিকভাবে হত্যা করার শামিল। এরপর ঘরে মধ্যে বসেই বাকি জীবন কাটাতে হবে।’