ফেসবুককে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করতে পারছি: এমপি তুহিন
এমপি তুহিন বলেন, ‘যখন অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড ছিল না, তখন মানুষের অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ হবার উপক্রম হয়েছিল। আমার ছবি ও তথ্য ব্যবহার করে অসংখ্য অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। আমার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষিরা আমার মূল অ্যাকাউন্টটি সহজে খুঁজে পেতেন না। কিন্তু এখন নামের পাশে নীল সাদা টিক চিহ্ন থাকায় সবাই খুব সহজেই বুঝতে পারেন যে এটা আমারই অ্যাকাউন্ট।’
ভেরিফায়েড প্রক্রিয়াটি অনেক কঠিন ছিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘প্রথম দিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অনেক জায়গায় চেষ্টা করেছি। পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের একান্ত প্রচেষ্টায় সফল হয়েছি।’ এ জন্য আবেদন পত্র লিখতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফেসবুককে রাজনৈতিক কাজ ও প্রচারণার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন উল্লেখ করে এই নারী সাংসদ বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের বিভিন্ন ধরনের তথ্য, আদর্শ ও উন্নয়ন কাজের প্রচার করা এই মাধ্যমে অনেক সহজ। আমার ভক্ত ও বন্ধুদের মাঝে নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়েও নিয়মিত রয়েছি। এখন ফেসবুককে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করতে পারছি বলে আনন্দিত।’
গত ৩০ মার্চ সিঙ্গাপুরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে দেশে ফিরে ১১ এপ্রিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ঘোষণা দেন যে, দেশের সব সংসদ সদস্যের ফেসবুক আইডি ও পেজ ভেরিফাই করে দিতে সম্মতি জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফলে সংসদ সদস্যদের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি করা, ভুল তথ্য দেয়ার মতো বিষয়গুলো বন্ধ হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।