ফেসবুকে ছড়াচ্ছে জঙ্গিবাদের বিষবাষ্প
সক্রিয় দেড় হাজার পেজ
ফেসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ‘সাইবার জিহাদের’ নামে জঙ্গি তৎপরতার প্রশংসা ও জঙ্গিদের দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। উগ্রপন্থার বর্ণনা সংবলিত ভিডিও-অডিও, বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে একাধিক ফেসবুক পেজ থেকে। এ রকম প্রায় দেড় হাজারের মতো পেজ থেকে দেদারসে জঙ্গিবাদী মতাদর্শ প্রচার করা হচ্ছে। জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ, দাওয়াত, প্রশিক্ষণ, বোমা তৈরি, অস্ত্র চালানোরও প্রশিক্ষণ সবই হচ্ছে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব তরুণ ও যুবক উগ্র জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে তাদের ৮২ ভাগই ভার্চুয়াল মাধ্যম থেকে এ কাজে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। এদিকে সরকারের নির্দেশনা আসামাত্র দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকসহ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই দেশে জঙ্গিবাদের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। তারা মনে করেন, অনলাইনে জঙ্গিবাদের বিস্তার রুখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আইনশৃংখলা বাহিনীকে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে এসব উগ্রবাদী অডিও, ভিডিও এবং পোস্ট শেয়ার বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিলেটে আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট থেকে জঙ্গি তৎপরতার প্রশংসা করা হচ্ছে। জঙ্গিদের ছবি, উগ্রপন্থার বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করা এসব পোস্টে লাইক ও কমেন্ট করছেন বহু তরুণ-যুবক। ওইসব তরুণ ও যুবকের ফেসবুক টাইমলাইনে ঢুকে নানা উগ্রপন্থী বক্তব্য পাওয়া গেছে। পুলিশের জঙ্গি দমন ইউনিট- সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট) কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে থেকে ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি করা কঠিন জেনেই এ মাধ্যমটিকেই বেছে নিচ্ছে তারা। সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপকমিশনার আলিমুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, দেশ ও বিদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তরুণদের জঙ্গিবাদে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। এ রকম প্রায় দেড় হাজার পেজ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। রোজ এসব সাইট থেকে নানা ধরনের অডিও, ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে। এসব পেজ বন্ধে বিটিআরসির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে দেশীয় জঙ্গিদের যোগাযোগ থাকতে পারে। পুলিশের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জঙ্গিবাদে যারা জড়িয়েছে তাদের ৮২ ভাগই ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার ২৫০ জঙ্গির সঙ্গে কথা বলে এ গবেষণা করা হয়। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, জঙ্গিবাদে জড়ানোদের ৫৬ শতাংশই সাধারণ শিক্ষার্থী আর মাদ্রাসা শিক্ষিত ২২ ভাগ।
জঙ্গি গবেষক পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ফেসবুক ব্যবহার করে জঙ্গিরা তরুণদের দলে টানছে। কিছু আইডি, চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গি নেতা জাওয়াহিরির বক্তব্য, দেশের জঙ্গিদের আধ্যাত্মিক নেতা মাওলানা জসিমউদ্দিনের বয়ান প্রচার করা হচ্ছে। এসব অডিও, ভিডিও দেখে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে তরুণরা।
ফেসবুক ব্যবহারে নতুন সদস্য সংগ্রহ : সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে ‘ওয়ার ইন মিডেল ইস্ট ওয়েস্ট নিউজ’ নামে একটি সাইটে জঙ্গিদের পক্ষে পোস্ট শেয়ার করা হয়। আরও সক্রিয় রয়েছে, আব তামকিন মিডিয়া, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ‘দাওয়া ইল্লাহ’, ‘সালাউদ্দিনের গোড়া’সহ অসংখ্য ফেসবুক পেজ। তিন পদ্ধতি ব্যবহার করে কর্মী সংগ্রহ করছে জঙ্গিরা। প্রথমে ধর্মের পক্ষে পজিটিভ অডিও, ভিডিও ও বক্তব্য পোস্ট করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আইএস প্রকাশিত বিভিন্ন অডিও, ভিডিও বাংলায় অনুবাদ করে শেয়ার করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, জিহাদের আহবান জানিয়ে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।
এসব শেয়ারে যারা লাইক কমেন্ট করে, ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে জঙ্গিরা। পরে সময়-সুযোগ বুঝে দেখা করে তাদের মোটিভেশন দিয়ে মগজধোলাই করা হয়। যখন জঙ্গি নেতারা বুঝতে পারেন তারা (নতুনরা) সংগঠনের জন্য ‘ডেডিকেটেড’, তখন তাদের পরিবার ছেড়ে ‘হিজরত’ করার আহ্বান জানায়। যারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে তাদের দেশের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় নিয়ে অস্ত্র, বোমা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সাহসীদের করা হয় আত্মঘাতী। গোয়েন্দারা বলেন, কোনো একটি পেজ বন্ধ করার এক ঘণ্টার মধ্যে আরও অনেক নতুন পেজ তৈরি করছে জঙ্গিরা। সন্দেহভাজন অনেক পেজ ব্যবহারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হচ্ছে। তবুও জঙ্গিদের এ তৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
ফেসবুকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক জরুরি : সম্প্রতি বাংলাদেশে ১৪ দেশের পুলিশপ্রধানদের নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে পুলিশ। নতুন আইডি খোলার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট দেখে নিতে ফেসবুককে অনুরোধ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান যুগান্তরকে বলেন, ইন্টারনেট একটি উন্মুক্ত জায়গা। এখানে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার পেজ খোলা হচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ তথা ‘সাইবার জিহাদ’ নিয়ন্ত্রণে ফেসবুকের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে সমঝোতা স্মারক সই করতে হবে।
‘নির্দেশনা আসামাত্র ফেসবুক বন্ধ’: বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের নির্দেশনা আসামাত্র দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হবে। মঙ্গলবার গুলশানের একটি হোটেলে টাওয়ার কোম্পানি ইডটকো আয়োজিত বাঁশের তৈরি মোবাইল টাওয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। দেশে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে সরকার ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে জানা গেছে, এ বিষয়ে বিটিআরসির বক্তব্য কী জানতে চাইলে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা এলে সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ প্রতিবেদন আদালত দাখিল করার বিষয়ে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা যথাসময়েই জমা দেয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকসহ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই দেশে জঙ্গিবাদের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। তারা মনে করেন, অনলাইনে জঙ্গিবাদের বিস্তার রুখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আইনশৃংখলা বাহিনীকে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে এসব উগ্রবাদী অডিও, ভিডিও এবং পোস্ট শেয়ার বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিলেটে আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট থেকে জঙ্গি তৎপরতার প্রশংসা করা হচ্ছে। জঙ্গিদের ছবি, উগ্রপন্থার বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করা এসব পোস্টে লাইক ও কমেন্ট করছেন বহু তরুণ-যুবক। ওইসব তরুণ ও যুবকের ফেসবুক টাইমলাইনে ঢুকে নানা উগ্রপন্থী বক্তব্য পাওয়া গেছে। পুলিশের জঙ্গি দমন ইউনিট- সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট) কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে থেকে ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি করা কঠিন জেনেই এ মাধ্যমটিকেই বেছে নিচ্ছে তারা। সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপকমিশনার আলিমুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, দেশ ও বিদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তরুণদের জঙ্গিবাদে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। এ রকম প্রায় দেড় হাজার পেজ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। রোজ এসব সাইট থেকে নানা ধরনের অডিও, ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে। এসব পেজ বন্ধে বিটিআরসির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে দেশীয় জঙ্গিদের যোগাযোগ থাকতে পারে। পুলিশের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জঙ্গিবাদে যারা জড়িয়েছে তাদের ৮২ ভাগই ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার ২৫০ জঙ্গির সঙ্গে কথা বলে এ গবেষণা করা হয়। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, জঙ্গিবাদে জড়ানোদের ৫৬ শতাংশই সাধারণ শিক্ষার্থী আর মাদ্রাসা শিক্ষিত ২২ ভাগ।
জঙ্গি গবেষক পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ফেসবুক ব্যবহার করে জঙ্গিরা তরুণদের দলে টানছে। কিছু আইডি, চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গি নেতা জাওয়াহিরির বক্তব্য, দেশের জঙ্গিদের আধ্যাত্মিক নেতা মাওলানা জসিমউদ্দিনের বয়ান প্রচার করা হচ্ছে। এসব অডিও, ভিডিও দেখে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে তরুণরা।
ফেসবুক ব্যবহারে নতুন সদস্য সংগ্রহ : সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে ‘ওয়ার ইন মিডেল ইস্ট ওয়েস্ট নিউজ’ নামে একটি সাইটে জঙ্গিদের পক্ষে পোস্ট শেয়ার করা হয়। আরও সক্রিয় রয়েছে, আব তামকিন মিডিয়া, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ‘দাওয়া ইল্লাহ’, ‘সালাউদ্দিনের গোড়া’সহ অসংখ্য ফেসবুক পেজ। তিন পদ্ধতি ব্যবহার করে কর্মী সংগ্রহ করছে জঙ্গিরা। প্রথমে ধর্মের পক্ষে পজিটিভ অডিও, ভিডিও ও বক্তব্য পোস্ট করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আইএস প্রকাশিত বিভিন্ন অডিও, ভিডিও বাংলায় অনুবাদ করে শেয়ার করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, জিহাদের আহবান জানিয়ে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।
এসব শেয়ারে যারা লাইক কমেন্ট করে, ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে জঙ্গিরা। পরে সময়-সুযোগ বুঝে দেখা করে তাদের মোটিভেশন দিয়ে মগজধোলাই করা হয়। যখন জঙ্গি নেতারা বুঝতে পারেন তারা (নতুনরা) সংগঠনের জন্য ‘ডেডিকেটেড’, তখন তাদের পরিবার ছেড়ে ‘হিজরত’ করার আহ্বান জানায়। যারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে তাদের দেশের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় নিয়ে অস্ত্র, বোমা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সাহসীদের করা হয় আত্মঘাতী। গোয়েন্দারা বলেন, কোনো একটি পেজ বন্ধ করার এক ঘণ্টার মধ্যে আরও অনেক নতুন পেজ তৈরি করছে জঙ্গিরা। সন্দেহভাজন অনেক পেজ ব্যবহারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হচ্ছে। তবুও জঙ্গিদের এ তৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
ফেসবুকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক জরুরি : সম্প্রতি বাংলাদেশে ১৪ দেশের পুলিশপ্রধানদের নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে পুলিশ। নতুন আইডি খোলার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট দেখে নিতে ফেসবুককে অনুরোধ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান যুগান্তরকে বলেন, ইন্টারনেট একটি উন্মুক্ত জায়গা। এখানে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার পেজ খোলা হচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ তথা ‘সাইবার জিহাদ’ নিয়ন্ত্রণে ফেসবুকের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে সমঝোতা স্মারক সই করতে হবে।
‘নির্দেশনা আসামাত্র ফেসবুক বন্ধ’: বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের নির্দেশনা আসামাত্র দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হবে। মঙ্গলবার গুলশানের একটি হোটেলে টাওয়ার কোম্পানি ইডটকো আয়োজিত বাঁশের তৈরি মোবাইল টাওয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। দেশে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে সরকার ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে জানা গেছে, এ বিষয়ে বিটিআরসির বক্তব্য কী জানতে চাইলে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা এলে সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ প্রতিবেদন আদালত দাখিল করার বিষয়ে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা যথাসময়েই জমা দেয়া হবে।