ফেসবুকে প্রেম করে সর্বশান্ত করাই মরক্কোর মেয়েদের পেশা!
ফেসবুক বা টুইটারে পরিচয়, তারপর শুরু প্রেম। তারপর অসতর্ক মুহূর্তে ওয়েবক্যামে যৌনতা। এরপর শুরু ব্লাকমেইল। এধরনের প্রতারণাকে রীতিমতো পেশা হিসেবে নিয়েছেন মরোক্কোর নারীরা। মরোক্কোর ওয়েড জেম শহরে এই ব্যবসা এখন বেশ রমরমা। জানা গেছে, শাহরটির ৩ হাজার নারী এ ফাঁদের সঙ্গে জড়িত। প্রেম করেন ভিডিওতে খোলামেলা যৌনতায় মেতে ওঠেন। এরপর ঐ ব্যক্তির স্বজন, বন্ধুদের নিকটান পাঠানোর কথা বলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। দেশটির জাতীয় ক্রাইম এজেন্সির প্রতিবেদন বলা হয়, ওই শহরের নারীদের প্রধান টার্গেট থাকে ব্রিটিশ পুরুষ। কারণ, ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। ওজন্যই ব্রিটিশরাই থাকেন প্রথম লক্ষ্য। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৩৮৫ জন ব্রিটিশ এ ফাঁদে আটকা পড়ে সবকিছু হারান। আর ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪৫ জনে। তাছাড়া এর পরিমাণ আরো ভয়ংকর আকার নিচ্ছে। তবে পরিসংখ্যানে এর পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ প্রতারিতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে।
ওইসব নারী ফেসবুক, লিংকডইন ও টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরুষদের টার্গেট করেন। তারপর ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে অনলাইনে যৌনতা করেন। তারপর ওয়েবক্যামের মাধ্যমে সেসব দৃশ্য ভিডিও করে রাখেন। পরে সেই ভিডিও ক্লিপ ভুক্তভোগী ব্যক্তির পরিবার বা বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করেন। একেকজনের কাছ থেকে কমপক্ষে ৮০০ ব্রিটিশ পাউন্ড করে আদায় করেন তারা। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা।