ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে স্কুলছাত্রী খুন
চট্টগ্রামে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রী খুন হয়েছে। বুধবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত ছাত্রীর নাম তাসফিয়া আমিন। সে নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। তাদের বাসা নগরীর ওআর নিজাম রোডে। পতেঙ্গা থানার পুলিশ জানায়, পতেঙ্গা নেভাল একাডেমির সামনে কর্ণফুলী নদীর তীরে পাথরের ওপর কিশোরীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। নগরের কর্ণফুলী অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, কিশোরীর মুখ ও হাঁটু থেঁতলানো। পাথরে পড়ে গিয়ে থেঁতলে গিয়েছে নাকি পাথর দিয়ে কেউ থেঁতলে দিয়েছে, তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না। তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
আদনান মির্জা নামে ফেসবুকের এক বন্ধুর সঙ্গে সৈকতে বেড়াতে গিয়ে এ কিশোরী খুন হয়েছেন। এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি কিভাবে তাকে মারা হয়েছে। তবে লাশ উদ্ধারের সময় তার মুখে জখম দেখা গেছে। কিশোরীর বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় মেয়ের বাবা মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে মেয়ের ছোট ভাই ও চাচাতো ভাই বাইরে যায়। ভাই বের হওয়ার দুই-আড়াই মিনিট পর মেয়েটিও বাসা থেকে বের হয়েছিল। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই কিশোরী ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তার মা বিশ্রামে ছিলেন। কিশোরীর হাতে মোবাইল থাকলেও সিম ছিল না। স্কুলে যাতায়াত ছাড়া তার মোবাইলে সিম দেওয়া হতো না। তবে বাসায় ওয়াইফাই সংযোগ আছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। কিশোরীর চাচা বলেন, ভাতিজির মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের সবাই শোকাহত। কোনো ছেলের সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকতে পারে, সেই ধারণা কারও নেই। নগরের বন্দর অঞ্চলের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আরেফিন জুয়েল বলেন, আটক কিশোর নগরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া সেরে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় কিশোরীকে নাকি তুলে দেয় সেই কিশোর। তারপর কী ঘটেছে, তা জানতে কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।