বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ, স্বামী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় গৃহবধূকে বন্ধুকে দিয়ে ধর্ষণ এবং পরে তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দম্পতি সদর উপজেলার পৌর এলাকার একটি ভাড়া বাসাতে থাকেন। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। তাদের আট বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, নারী আসক্তির কারণে স্বামী রফিকুলের সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এ কারণে তাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করা হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রায় তিন বছর আগে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর এক বছর পর রফিকুল তাকে তালাক দেন। এরপর আরও দুটি বিয়ে করেন রফিকুল। কিন্তু তাদের সঙ্গেও তার বিচ্ছেদ হয়। সর্বশেষ প্রায় দেড় বছর আগে রফিকুল নিজের ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগী তাকে আবার বিয়ে করেন। ওই নারী আরও জানান, বিয়ে করার পরও রফিকুলের নারী আসক্তি কমেনি। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের ঝগড়া হতো। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রফিকুল তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় যান। এ সময় স্বামীর সহযোগিতায় ওই বন্ধু তার হাত বেঁধে ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর স্বামী রফিকুল তাকে মারপিটের পর ব্লেড দিয়ে হাত ও বুকে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে বোতল থেকে তার অ্যাসিড ঢেলে ঝলসে দেওয়া হয়। এতেও শেষ হয়নি নির্যাতন। তার মাথার ডান পাশের চুলও কেটে দেওয়া হয়।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ জানান, মাথার বেশ কিছু অংশের চুল মুড়িয়ে ফেলা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে দগ্ধ হয়েছে। তাকে গাইনী ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তখনই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।