সিলেটের ওসমানীনগরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা প্রবাসী হুসানারা বেগম ও তার ছেলে সাদিকুল ইসলাম সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর ৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত বুধবার বিকেলে বাড়ি ফেরেন তারা। তবে হুসানারার একমাত্র মেয়ে সামিরা ইসলামের জ্ঞান ফেরেনি। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন হুসানারার মেয়ে সামিরা। তার জ্ঞান ফিরবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এদিকে ঘরে পাঁচজনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত এর রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি পুলিশ। পাঁচজন অচেতন হওয়া ও তাদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যুর কারণ জানতে ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ২৬ জুলাই সকালে ওসমানীনগরের তাজপুরে ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় উপজেলার ধিরারাই গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ পরিবারের পাঁচজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রফিকুল ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তার স্ত্রী হুসানারাসহ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন স্বামী এবং ছেলে মারা যাওয়ার বিষয় হুসানারাকে জানানো হয়নি। হাসপাতাল থেকে ফিরে তাদের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সিলেটের পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৬টি আলামত সংগ্রহ ও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৭০ বার