বহিষ্কার হচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান!
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সোমবার রাত এগারটার দিকে এই প্রতিবেদককে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত হয়েছে আমাদের নির্বাচিত দু’জন শপথ নেবেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমরা বয়কট করেছি। এখন তারা এই সিদ্ধান্ত না মেনে শপথ নেওয়ার পক্ষে নানান কথা বলছেন। যা সংগঠনের শৃংখলা পরিপন্থী। তারা যদি শেষ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। শপথ নিলে গণফোরাম থেকে বহিস্কার করা হবে- সুব্রত চৌধুরীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর বলেন, আমি গণফোমের কেউ না। তাই তারা আমাকে বহিস্কার করলে কিছু যায় আসে না। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গণফোরাম যদি আপনাকে বহিস্কার করে সেক্ষেত্রে সদস্য পদ বাতিল হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সুলতান আহমেদ বলেন, তারা আমাকে বহিস্কার করলেও সদস্য পদ বাতিল হবে না। তিনি বলেন, নব্বই দিনের মধ্যে আমি শপথ নেব ও সংসদে যোগ দিব। কারণ, এলাকার জনগণ আমাকে সংসদে যোগ দেওয়ার জন্য ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর গণফোরামের কেউ নন, তাহলে কিভাবে তাকে বহিস্কার করবেন? এ প্রসঙ্গে সুব্রত চৌধুরী বলেন, মুকাব্বির খান দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য।আর সুলতান প্রাথমিক সদস্য। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর স্বাক্ষরিত চিঠি নিয়েই তারা দু’জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সেই কাগজ আমার কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন সুব্রত চৌধুরী।
জানা গেছে, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন প্রথম অবস্থায় নির্বাচিত দুই এমপির শপথ নেওয়া ও সংসদে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে থাকলেও, এখন তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। দলটির অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা সংসদে যোগ না দেওয়ার পক্ষ নেওয়ায় ড. কামাল হোসেনও এখন চাচ্ছেন না, ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে দুজন সদস্য সংসদে যোগ দেন। জানা গেছে, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান সংসদে যোগ দেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার পর বিষয়টি সিঙ্গাপুরে অবস্থান করা ড. কামাল হোসেনকে টেলিফোনে জানানো হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দলের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে বলেন, ওদের বহিষ্কার করে দাও। তবে সুব্রত চৌধুরী ড. কামালকে বলেন, এখনই এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাদের আরো বোঝাতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত অমান্য করে তারা যদি সংসদে শপথ নিতে যায় তাহলেই তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমি টেলিফোনে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তবে যেহেতু তিনি আজ দেশে ফিরছেন সেহেতু আমি ব্যবস্থা নেইনি। তবে তারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে বহিস্কার করা হবে।