বাঁধের উচ্চতা কম করায় পানি ঢুকেছে শনির হাওরে
একই গ্রামের সুনীল পাল বলেন, তিনি ১৫ একর জমিতে ২৯ জাতের ধান চাষ করেছিলেন। এর মধ্যে ৫ একর জমির ধান কাটতে পারলেও ১০ একর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। যে ধান পেয়েছেন তাতে কোনও রকমে সারা বছরের খাদ্য সংস্থান হলেও অন্যান্য কাজ করতে তার হাতে কোনও টাকা নেই। ১০ একর জমির ধান কেটে তুলতে কমপক্ষে ২০০ মণ ধান পেতেন তিনি। ইসলামপুর গ্রামের বাডু মিয়া বলেন, ‘হাওরের সব এলাকা আর সব জমিতে একই সময় চাষাবাদ করা যায় না। কেউ আগে জমিতে ধান লাগায়, কেউ পরে। তাই সবার জমির ধান একসঙ্গে পাকে না। পানি ঢোকার ফলে তার দুই একর জমির ধান তলিয়ে যায়। এখন সাহায্য ছাড়া কোনও উপায় নেই। বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে ইউএনও প্রিয়াংকা পাল বলেন, ‘বৌলাই নদীর পানি উপচে হাওরে পানি ঢুকেছে। হাওরের নিচু জমির ধান অনেক আগেই কাটা হয়ে গেছে। বাঁধ নির্মাণে কারও অবহেলার অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সফিউল আলম এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, ‘অনেক আগেই হাওরের পাকা ধান কেটে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। যারা জমির পাকা ধান কাটেননি তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধ নির্মাণে যদি কারও এতোটুকু ত্রুটি পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণ করে সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নদীগুলো পানি দ্রুত বেড়ে বাঁধ উপচে পানি হাওরে প্রবেশ করেছে। বাঁধ নির্মাণে কোনও ধরনের অবহেলা পাওয়া গেলে তিল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না কাউকে।’ তিনি বলেন, হাওর এলাকার ফসল কাটা হয়ে গেছে। এখন যে পানি হাওরে প্রবেশ করেছে তাতে কোনও ক্ষতি হবে না। বাঁধ নির্মাণে অবহেলার অভিযোগের বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মনেছা বেগমের ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।