বাংলাদেশি সুফিয়ার তৈরি সস নিউ ইয়র্কের দোকানে দোকানে
তিন বছর আগে নিজের নিরাপদ পেশা ছেড়ে নতুন কিছু করতে চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশি সুফিয়া হোসেইন। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে তোর ঝোঁক তখন খাবারের পেশায়। নিউ ইয়র্কেই শুরু করে দেন নিজের ব্যবসা। কিন্তু এত বড় ঝুঁকি নেওয়ায় সেখানে থাকা বাংলাদেশি ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বোকা ও পাগল বলে সম্বোধন করতে থাকে। কিন্তু এখন তার সেই ছোট ব্যবসা এখন ছড়িয়ে পড়েছে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ম্যানহাটন ও ব্রুকলিনজুড়ে। সিলি চিলি হট সস নামের তার এই পণ্য পাওয়া যায় ১৪৪টি দোকানে। সুফিয়া পড়াশোনা ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে। নিউ ইয়র্কের ফ্যাশন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক শেষ করা সুফিয়ার খাবার ব্যবসা নিয়ে খুব বেশি ধারণা ছিলো না। মরিচ কিংবা ঝাল নিয়ে তো না-ই। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কৃষি বাজারে গিয়ে রঙিন মরিচের গুড়া দেখতে আমার খুব ভালো লাগতো। কিন্তু আমি বুঝতাম না এদের পার্থক্য কি।’ এরপই বিভিন্ন প্রকার মরিচ নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন সুফিয়া। ইউটিউবসহ ইন্টারনেটের অন্যান্য জায়গা থেকে তথ্য নিতে থাকেন। তার বাসার রান্নাঘরেই চলে গবেষণা। কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর তিনটি সস বোতল তৈরি করেন তিনি। সেগুলো টেস্ট করে তার সহকর্মীরা। সুফিয়া বলেন, ‘আমার সহকর্মীরা সেটা দারুণ পছন্দ করেছিলো। তখনই আসলে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’ তার সসের মূল কাচামাল আসে রাটজারস বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি খামার থেকে। তবে নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকেও কিছু জিনিস কিনে থাকেন তিনি। সুফিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি যে আমি শুধু স্থানীয় কৃষকদেরই সহায়তা করছি না বরং কৃষিকে একটি পেশা হিসেবে তুলে ধরতে পারছি। কারণ এখন খুব বেশি মানুষ এখন কৃষিকে পেশা হিসেবে মনে করে না। যুক্তরাষ্ট্রের সসের বাজার খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তাই সেখানে সফল হওয়া সহজ ছিলো না সুফিয়ার জন্য। দোকানমালিককে তার পণ্য রাখার ব্যাপারে রাজি করাতে মাসের পর মাস সময় লেগে যায় তার। সুফিয়া বলেন, ‘আমি আসলে ‘না’ হিসেবে নেই না। আমি মনে করি ‘এখন না’।’সুফিয়ার পড়াশোনা ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে। নিউ ইয়র্কের ফ্যাশন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক শেষ করা সুফিয়ার খাবার ব্যবসা নিয়ে খুব বেশি ধারণা ছিল না। মরিচ কিংবা ঝাল নিয়ে তো না-ই। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কৃষিবাজারে গিয়ে রঙিন মরিচের গুঁড়া দেখতে আমার খুব ভালো লাগতো। কিন্তু আমি বুঝতাম না এদের পার্থক্য কি।’ এরপই বিভিন্ন ধরনের মরিচ নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন সুফিয়া। ইউটিউবসহ ইন্টারনেটের অন্যান্য জায়গা থেকে তথ্য নিতে থাকেন। তার বাসার রান্নাঘরেই চলে গবেষণা। কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর তিনটি সস বোতল তৈরি করেন তিনি। সেগুলো টেস্ট করেন তার সহকর্মীরা। সুফিয়া বলেন, ‘আমার সহকর্মীরা সেটা দারুণ পছন্দ করেছিলো। তখনই আসলে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’ তার সসের মূল কাঁচামাল আসে রাটজারস বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি খামার থেকে। তবে নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকেও কিছু জিনিস কিনে থাকেন তিনি। সুফিয়া বলেন, “আমি মনে করি শুধু স্থানীয় কৃষকদেরই সহায়তা করছি না; বরং কৃষিকে একটি পেশা হিসেবে তুলে ধরতে পারছি। কারণ, খুব বেশি মানুষ এখন কৃষিকে পেশা হিসেবে মনে করে না। যুক্তরাষ্ট্রে সসের বাজার খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তাই সেখানে সফল হওয়া সহজ ছিল না সুফিয়ার জন্য। দোকান মালিককে তার পণ্য রাখার ব্যাপারে রাজি করাতে মাসের পর মাস সময় লেগে যায় তার। সুফিয়া বলেন, ‘আমি আসলে না হিসেবে নেই না’। আমি মনে করি ‘এখন না’।”