বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের স্থান হবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সকলে মিলেই কিন্তু এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অত্যন্ত সফলতা অর্জন করেছি, যা বিশ্বব্যাপী একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই ধারাটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে কোনো মতেই বাংলার মাটিতে কোনো রকম জঙ্গিবাদের স্থান না হয়। বাংলাদেশে বিক্ষিপ্ত কিছু হামলার গত বছর জুলাইয়ে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা ঘটে, যাতে ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে জঙ্গি দমনে, বিভিন্ন অভিযানে সেনাবাহিনীও অংশ নিচ্ছে। শেখ হাসিনা, জাতির পিতার প্রতিষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট কালের আবর্তে আজ স্বমহিমায় উজ্জ্বল ও ঐতিহ্যে ভাস্বর। সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা দায়িত্ব ও রাষ্ট্রাচার অনুষ্ঠানে আপনাদের ভূমিকা আজ সর্বজন স্বীকৃত ও প্রশংসিত। রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, তুফান সবকিছু উপেক্ষা করেও আপনারা দায়িত্ব পালনে অটল থাকেন। আপনাদের এই একনিষ্ঠ কর্তব্য পালন আমাকে মুগ্ধ করে, গর্বিত করে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট তার চিরাচরিত সুনাম অক্ষুন্ন রেখে ভবিষ্যতে অধিক সফলতা অর্জনে সক্ষম হোক। আত্মবিশ্বাসী পদভারে তারা আরও সামনে এগিয়ে যাক। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে পিজিআর সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো, ভাতা বাড়ানো, আবাসন সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন হাসিনা। বাহিনীটির সদস্যদের দক্ষতা ও উৎকর্ষ আরও বাড়াতে প্রশিক্ষণের উপরও গুরুত্ব দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এসময় সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করে তুলতে সরকারের পদক্ষেপের কথাও বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সময় অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন, এটা কেন দরকার, ওটা কেন দরকার, এটা হবে কেন, ওটা আনতে হবে কেন? বড় বড় দেশ, উন্নত দেশ, তাদের সবই আছে। কারণ তাদের সম্পদ আছে। আমাদের হয়ত সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরেও আমরা একটা স্বাধীন দেশ। স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে যা যা থাকা দরকার, অল্প পরিমাণেও সেটা থাকতে হবে।