এদিন একাদশে ছিলেন না ভারতের গোলদাতা আদিল খানও। দোহার মাঠে এই ম্যাচের গুরুত্ব বাংলাদেশ আর ভারতের কাছে সমান। জিততে পারলে ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে সরাসরি খেলার পথটা প্রশস্ত হবে। হেরে গেলে সেই সুযোগ কার্যত শেষ। ম্যাচটা ড্র হলে লাভ আফগানিস্তানের। তারা মূলপর্বের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই প্রতিবেশী দুই দলই শুরু থেকে আক্রমণের নীল নকশা তৈরি করেই খেলতে থাকে।
বিশেষ করে অ্যাটাকিং মাইন্ডের ছয় ফুটবলার নিয়ে একাদশ সাজান ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগার স্টিমাচ। তার সুফল অন্তত প্রথমার্ধে ঘরে তুলতে পারেনি ভারতীয় শিবির। উল্টো বেশ কয়েকবার ভারতীয় রক্ষণে কাপন ধরায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৯ মিনিটে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ফাকায় দাড়িয়েও টোকা দিতে ব্যর্থ হন তারিক কাজী। ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোলরক্ষককে একাপেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ভারতের মানবির সিং। ৩৩ মিনিটে মাসুক মিয়া জনিকে উঠিয়ে ইব্রাহিমকে মাঠে নামান জেমি ডে। তার পরের মিনিটে গোল হজমের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেন রিয়াদুল হাসান রাফি। কর্ণার থেকে চিংলেনসানা সিংয়ের হেড একেবারে গোল লাইন থেকে সেভ করেন রাফি।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে তার হেডে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০৫ নম্বরে থাকা দেশটি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ভারত অধিনায়ক। এরফলে জাতীয় দলের হয়ে ভারত ফরোয়ার্ডের গোল দাড়ালো ৭৪টি। এ জয়ে সাত ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ৬, সমান ম্যাচে বাংলাদেশের সর্ব সাকুল্যে সংগ্রহ ২। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে ড্র করে বাংলাদেশ। সোহেল রানার বদলী হিসেবে নেমে ড্র’তে দারুন ভুমিকা রাখেন ডিফেন্ডার মানিক হোসেন মোল্লা। তাকে মূল একাদশে রেখেই ভারত ম্যাচে দল সাজান জেমি ডে। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামে জামাল ভূঁইয়ারা।
কাতারের দোহায় ফিরতি লেগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৫৮ মিনিটের সময় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সোহেল রানা। তার বদলে মানিক মোল্লা নামার পর মাঝমাঠে গতি বাড়ে লাল সবুজ জার্সিধারীদের। এমনকি তপু বর্মনের যে গোলটি দিয়ে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ দল, সেই বলটি ডি বক্সের মধ্যে বাড়িয়েছিলেন এই ডিফেন্ডারই।
বাংলাদেশ একাদশ
আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, রহমত মিয়া, রিয়াদুল ইসলাম রাফি, তারিক কাজী, জামাল ভূঁইয়া, মাশুক মিয়া জনি (ইব্রাহিম), মানিক মোল্লা, রাকিব হোসেন, বিপলু আহমেদ, মতিন মিয়া।