বাধঁ ভেঙ্গে টাংগুয়ার হাওরে পানি, ৪ হাজার একর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকা
সুনামগঞ্জ :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার নাউটানা খালের বাধঁ ভেঙ্গে টাংগুয়ার হাওরে পানি প্রবেশ করায় প্রায় ৪হাজার একর জমির ধান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এ হাওরে কষ্টের ফলানো বোরো ধান কাটকে না পারায় কৃষকগনের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ বাঁেধর ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে ব্যাপক তুলপার সৃষ্টি হয়েছে। সুনামগঞ্জ ১আসনের সাবেক এমপি নাজির হোসেন ফেসবুকে ঐ পোষ্টে নিজের আইডি থেকে তিনি কমেন্টস লিখেছেন,এখনও তো প্রশাসন উদ্যোগ নিলে বাধঁ বাধা সম্ভব হবে। এছাড়াও অনেকেই অনেক মন্তব্য করছেন। খবর শুনে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূনেন্দ্র দেব বৃহস্পতিবার সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে ভাঙ্গা বাঁেধ পাশে মাছ ধরার সময় এক জেলে কে আটক করেছে। তার নাম আনোয়ার হোসেন (২৫)। তিনি উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের হুকুম পুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। স্থাণীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়,গত বৃহস্পতিবার ভোরে অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা এই বাঁধটি কেটে দেওয়ায় কারনে বৃহস্পতিবার সারাদিন ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাওরে পানি প্রবল বেগে প্রবেশ করছে। ইতি মধ্যে হাওরের প্রায় ৪০ভাগ বোরো ধান পানির নিচে চলে গেছে। বৈরী আবহাওয়ায় নদীতে পানি বাড়ছে। দ্রুত এই বাঁধটি দিয়ে পানি প্রবেশ করা বন্ধ করা না হলে এই পানি টাংগুয়ার হাওরের আরো ১০টি বাঁেধ আঘাত করবে বলে জানাযায়। এতে করে ঝুঁকির মধ্যে পরবে হাওর গুলো হল,টাংগুয়ার হাওরেরএরালিয়াকোনা,গনিয়াকুরি,লামারগুল,টানেরগুল,নান্দিয়া,মাজেরগুল,গলগলিয়া,টুঙ্গামারা,সুনাডুবি,শামসাগর। এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে,উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডের স্থাণীয় জেলেরা পরিকল্পিত ভাবে বান্দিয়া জাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য এই বাঁধটি রাতের আধাঁরে কেটে দিয়েছে। এর সাথে টাংগুয়ার হাওরের ব্যবস্থাপনা কমিটির সংশ্লিষ্টরা জরিত আছে। তা না হলে তারা এই বাঁেধ বিষয়ে গুরুত্ব দেয় নি কেন। এছাড়াও এই এলাকার জেলেদের সাথে তাদের রয়েছে গভীর সর্ম্পক। এই বাঁধটি টাংগুয়ার হাওরের নজরখালী বাধেঁর আধা কিলোমিটার দূরে। আর প্রায় ১০বছরের পুরোনো। এই বাঁেধ এবার ঐ কমিটির লোকজন নাম মাত্র কাজ করায় সহজেই বাঁধটি কেটে দিয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী আরো জানান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আসছেন এই বাঁেধ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এবিষয়ে টাংগুয়ার হাওরের সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধক্ষ্য খসরুল আলম জানান,কারা বাঁধটি কেটে দিয়েছে আমরা তা জানি না। তবে তদন্ত করা হচ্ছে। বাঁধটি দিয়ে পানি প্রবেশ করা বন্ধ করা খুবেই প্রয়োজন। বাঁেধ এবার মাটি ফেলা হয়েছে। নিরব আহমেদ,হাদিউজ্জামান,রফিক,স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,এখন ধান কেটে গোলায় তুলার কথা আর এখন হাওরেই পানিতে ডুবছে কষ্টের ফলানো ধান। এবার যে স্বপ্ন দেখছিলাম তা এখন দূস্বপ্নে পরিনত হচ্ছে। কারো কি কিছুই করার নাই বলে ক্ষোব প্রকাশ করেন। উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খসরুল আলম বলেন,এই বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় টাংগুয়ার হাওরের কষ্টের ফলানো কৃষকের ধান এখন চোখের সামনেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,এই বাঁধটি যারা কেটে দিয়ে তারা খুবেই খারাপ কাজ করেছে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা পূনেন্দ্র দেব জানান,এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।