সাম্প্রদায়িক ও সহিংসতার পৃষ্ঠপোষক বিএনপির হাতে এ দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয় অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ আবার অন্ধকারে তলিয়ে যাবে, লাশের পাহাড় হবে। প্রতিশোধ প্রবণ ওই দল ক্ষমতা পেলে দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে। বিএনপির রাজনীতি ভাইরাসের চেয়েও ভয়ংকর বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি। বিএনপির হত্যা, খুন ও সন্ত্রাসের রাজনীতি দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশ গতবারের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়েছে। বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ নরক যন্ত্রণার মধ্যে আছে। অথচ বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশ গতবারের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এখন দুইটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে প্রথমটি করোনা, দ্বিতীয়টি হচ্ছে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা। তিনি বলেন করোনা প্রতিরোধের পাশাপাশি উগ্র সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মোকাবেলা করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেখানে সাংগঠনিক সমস্যা আছে সেখানে স্ব স্ব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আওয়ামী লীগের যেসব কমিটি ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে, সেসব কমিটি নিয়ে কারো কোনও অভিযোগ থাকলে ধানমন্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচনি ট্টাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনার কারণে যথাযথভাবে আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে পারছি না। তবে ঘরোয়াভাবে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান কাটছাঁট করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের শাখার সংগঠনগুলোকে বিশেষ করে মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও ওয়ার্ডের সংগঠনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পালন করার আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।

এ সময় ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওবায়দুল কাদের দলের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে ২৩ জুন সূর্যোদয়ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সকল কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। একই দিন সকাল নয়টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ২৩ জুন বিকাল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। সভায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালানো হবে এবং বিশেষ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে দিবসটি পালনের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের পূর্বপশ্চিমবিডি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn