বিএনপি নেতারা সরে দাঁড়িয়ে নতুনদের জায়গা দিতে চান
সদ্য শেষ হওয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির পর কাউন্সিল ডেকে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব এসেছে দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে। বিএনপিকে নতুন করে গঠন করতে এবং ত্যাগী ও তরুণদের সুযোগ দিতে চান নেতারা। আর এজন্য দলের প্রয়োজনে পদ ছেড়ে দিতে রাজি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপির এই তিন নেতা তাদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে দল পুনর্গঠন করতে হবে। দলের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করতে হবে। ২০০৮ সালে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তিনি বলেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে। ত্যাগী, পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে আনতে হবে। আমরা যারা ব্যর্থ বলে পরিচিত হয়েছি আমাদের পদ ছেড়ে দিতে হবে তরুণদের জন্য।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার কোনো দাবি মানলো না, তার পরও কেন নির্বাচনে গেলাম? দুটি বিশ্বাস নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে গেছে। প্রথম কারণ হল, নির্বাচনে গেলে অন্তত নির্বাচনী একটা পরিবেশ তৈরি হবে। দ্বিতীয় কারণ- ভেবে ছিলাম যেহেতু এটা দলীয় সরকার, তাই তারা অন্তত চেষ্টা করবে দলীয় সরকারের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে, সেটা প্রমাণিত করার চেষ্টা করবে। অন্তত তফসিল ঘোষণার পর নতুন কোনো মামলা হবে না, প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন। তিনি বলেন, নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে। যারা নির্বাচনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এদের দেখাশোনা করতে হবে, পাশে দাঁড়াতে হবে। দরকার হলে আমরা যাদের বয়স হয়ে গেছে, তারা সরে যাবো। তারপরেও দলটাকে রখতে হবে। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তাদের বক্তব্য সমর্থন করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। হতাশা থাকলে জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করতে পারবো না। অন্ধকারে আলো খুঁজে বের করতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, এজন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের ভাইদের মুক্ত করতে হবে, গণতন্ত্র মুক্ত করতে হবে। দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আবদুল মান্নান, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীরবিক্রম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আহমেদ আযম খান।