বিশ্বনাথে প্রতিবন্ধী কিশোরী ‘ধর্ষণ: ইমাম পলাতক, গ্রেপ্তার ২
বিশ্বনাথ:: বিশ্বনাথে মাওলানা রুহুল আমিন শাহার (৩৫) নামে এক ইমামের বিরুদ্ধে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) এ ঘটনায় ৭ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ওই কিশোরীর বড় বোন (মামলা নং-১)। মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) মসজিদের মুয়াজ্জিন মাহফুজ বিন আরিফ (১৯) ও গ্রামের মাতব্বর মখদ্দছ আলীকে (৬৩) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। আর ঘটনার পর থেকে ইমাম রুহুল আমীন শাহার পলাতক রয়েছেন। গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্বনাথের খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনাটি ঘটে। গ্রেপ্তার হওয়া মোয়াজ্জিন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মাওলানা আরিফ উদ্দিনের ছেলে আর মাতব্বর মখদ্দুছ আলী ইসলামপুরের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিতৃহারা দরিদ্র পরিবারের নির্যাতিতা ওই কিশোরী প্রায় দুই বছর ধরে নিজ গ্রামের আবদুশ শহীদের ঘরে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছেন। ওই ঘরে লজিং থেকে দীর্ঘদিন থেকে ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদে ইমামতির দায়িত্বপালন করছেন মো. ইমাম রুহুল আমিন শাহার। লজিং ঘরে কাজ করার ফলে কিশোরীর দিকে কুনজর পড়ে ওই ইমামের। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় জোর করে তার কক্ষে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি (ইমাম)। তার আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন কিশোরীকে ইমামের কক্ষ থেকে উদ্ধার করেন। ইমাম রুহুল আমিন শাহার ওই কিশোরীকে এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলেও 0অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবারের ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে বিপাকে পড়েন তিনি। সেজন্য নিজ সহকর্মী মোয়াজ্জিন ও গ্রামের কিছু মাতব্বরদের সহযোগিতা নেন ইমাম। আর ওই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অপতৎপরতা চালান একই মসজিদের মুয়াজ্জিন ও গ্রামের কিছু মাতব্বররা।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে থানা পুলিশের নজরেও যায় বিষয়টি। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতাও পায় পুলিশ। এ প্রসঙ্গে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, প্রধান আসামি মসজিদের ইমামকে পালাতে সহযোগিতা করায় মামলার এজাহারনামীয় অপর আসামি মোয়াজ্জিন ও এক মাতব্বরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আর নির্যাতিতাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।