আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও উত্তর কোরিয়ার পরামাণু অস্ত্র ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজনায় মার্কিন ডলারে প্রভাব ফেলেছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে চলেছে। খবর রয়টার্স।নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বিশ্বের বৃহত্তম গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড এসপিডিআর গোল্ড শেয়ার জানায়, গত বৃহস্পতিবার তাদের স্বর্ণ লেনদেন ছয় টন ছাড়িয়ে গেছে। এদিন আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে আউন্সপ্রতি এক হাজার ২৮৬ ডলার ২৫ সেন্ট বা স্থানীয় মুদ্রায় এক লাখ দুই হাজার ৯০০ টাকায় (প্রতি ডলার সমান ৮০ টাকা ধরে) পৌঁছায়। ওই দিন বাজারের শুরুতে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম এক হাজার ২৮৮ ডলার ৬৪ সেন্ট বা এক লাখ তিন হাজার ৯১ টাকায় পৌঁছায়। নভেম্বরের প্রথম দিকের পরে এটিই আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবান ধাতুটির সর্বোচ্চ দাম ছিল। এ ছাড়া নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জের (নিমেক্স) কোমেক্স বিভাগে গত শনিবারও আগামী জুনে সরবরাহের চুক্তিতে স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৮৬ ডলার ৩০ সেন্ট বা এক লাখ দুই হাজার ৯০৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি শহরে রাসায়নিক হামলার জবাবে সরকারি বাহিনীর সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ছয় বছর ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালীন এটিই দেশটির সরাসরি হামলা। এ হামলার মধ্য দিয়ে আসাদ সরকারকে উৎখাতে মার্কিন যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এতে সিরিয়া ও তার মিত্র রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ উত্তেজনা প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারে। নিরাপদ বিনিয়োগের কথা চিন্তা করে মূল্যবান এ ধাতুটির দিকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। এদিকে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ও উত্তর কোরিয়ার বিষয়টির সঙ্গে স্বর্ণের দরবৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘প্রেসাস মেটালস ইনভেস্টিং ফর ডুমিনিস’-এর লেখক পল ম্লাদজেনোভিচ বলেন, ‘বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থা নিয়ে যখন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তখন ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণে অর্থ খাটিয়ে নিরাপদ বোধ করেন।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn