বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বাড়াতে অর্থের অভাব হবে না: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ৩৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটির আওতায় একাডেমিক ভবন, ডরমিটরি ও ছাত্র/ছাত্রী হল নির্মাণ কাজ চলমান। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ, দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, পাঁচটি ইনস্টিউট, আর্ন্তজাতিক ছাত্র/ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষ ও আইটি স্পেস ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া অতিথি ভবন, একাডেমিক ভবন, স্কুল ও কলেজ ভবন, একটি ছাত্র ও একটি ছাত্রী হল নির্মাণ, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ইউটিলিটি ভবন নির্মাণ করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন বাজার না হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা বাড়াতে হবে। এর জন্য যত টাকা প্রয়োজন সরকার দেবে। গবেষণার পাশাপাশি প্রকাশনা আরো বাড়াতে হবে।
প্রকল্পের আওতায় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন, ১১-২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য টাওয়ার নির্মাণ, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসিক ভবন, মাল্টিপারপাস হল কাম টিএসসি কাম জিমনেসিয়াম ভবন নির্মাণ, চিকিৎসা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য আবাসিক ভবনসহ মসজিদ নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, ক্যাম্পাসের চারদিকে সবুজ বেষ্টনী নির্মাণ এবং বিভিন্ন ল্যাব যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও ল্যাপটপসহ আনুষঙ্গিক ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি কেনা হবে। প্রকল্পটি আরো আগে অনুমোদন দেওয়ার দরকার ছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
‘হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে নারীদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এখানে মেয়েদের বেশি করে সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রাম জেলার উপকূলীয় এলাকার পোল্ডার পুনর্বাসন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৬ কোটি টাকা। এই প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের নদীমাতৃক দেশ। সুতরাং, নির্মাণকাজে আরো সতর্ক হতে হবে। নদীর পাড়ে কোনো নির্মাণকাজ শুরু করলে শীত মৌসুমে শেষ করতে হবে। যেটুকু শীত মৌসুমে সম্পন্ন করা যাবে সেটুকু কাজ হাতে নিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। কারণ বর্ষায় নির্মাণ কাজের ক্ষতি হয়ে যাবে। পূর্বপশ্চিমবিডি