বিশ্বম্ভরপুরে ডাক্তারকে আঘাতের ঘটনায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার
বিশ্বম্ভরপুরে :: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাইদুর রহমান রাজিব নামের এক বখাটের আঘাতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আব্দুর জহুর সেতু থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দলবল নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে ডাক্তার আখতার-উজ-জামান এর উপর অতর্কিত হামলা চালায় রাজিব। এসময় থাপ্পড় মেরে তার কানের পর্দা ফটিয়ে দেওয়া হয়। এঘটনায় সোমবার রাতে ডা. আখতার-উজ-জামান আখন্দ বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, তার ছেলে সাইদুর রহমান রাজিব ও অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে বিশ্বম্ভরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ আব্দুল কাইয়ুম-কে গ্রেফতার করলেও ছেলে সাইদুর রহমান রাজিব পলাতক রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যানের বখাটে পুত্র রাজিব বিশ্বম্ভরপুর হাসপাতালে গিয়ে নার্সদের উত্যক্ত করতো। এছাড়া বিভিন্ন সময় মাদকদ্র্য সেবন করেও হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে মাতলামি করতো সে। সোমবার দুপুরে তার এমন বখাটেপনার প্রতিবাদ করায় রাজীব আবাসিক ডাক্তারের কক্ষে প্রবেশ করে ডা. আখতারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায় থাপ্পর দিয়ে তার কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়। এসময় সাধারণ জনতার প্রতিরোধের মুখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আইনগত ব্যবস্থা নিলে ডাক্তারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় রাজিব। এদিকে, উপজেলার সর্বোচ্চ পদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এভাবে নির্যাতন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুনামগঞ্জ বিএমএ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সৈকত দাসসহ নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, আবাসিক চিকিৎসক ডা. আখতার-উজ-জামানের ওপর হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যানের ছেলে সাইদুর রহমান রাজিব পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।