বিশ্বের বিভিন্ন শহরে প্রযুক্তির অভিনব ব্যবহার
নিত্যনতুন প্রযুক্তি যেমন বড় ধরনের তথ্য, সেন্সর, মোবাইল এবং স্মার্ট গ্রিডস বিভিন্নভাবে বিশ্বের শহরগুলোকে পরিচালিত করে থাকে। আপনি যদি কোনো নতুন শহরে যান তবে সেখানে আপনাকে সাহায্য করবে মোবাইল। আপনার সঙ্গে থাকা স্মার্ট ফোনটি আপনাকে বলে দেবে কোথায় আপনি খুঁজে পাবেন গাড়ি রাখার স্থান, কোথায় থাকবে যানজট। শুধু তাই নয়, অনেক আধুনিক শহর প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে পাল্টে দিচ্ছে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার ধরন।
আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর ভ্রমণ করেন সেখানে আপনার চোখে স্মার্ট ক্যাবের দেখা মিলবে। এসব ক্যাব কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে প্রযুক্তিকে। যেমন আপনি কোনো ক্যাব বা ট্যাক্সিতে চড়ে ভ্রমণ করলে এর বিল স্মার্টফোন ব্যবহার করেই দিতে পারবেন। এতে সময়ের পাশাপাশি ঝামেলা মুক্ত হচ্ছেন যাত্রীরা।
বহির্বিশ্বে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে গোলাগুলির ঘটনা। আর এসব ঘটনায় বেশি প্রাণ হারান নির্দোষ মানুষেরা। প্রাণ হারান অনেক পথচারীও। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন যা থেকে স্থানীয়রা এ ধরণের কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটলে সাথে সাথেই জানতে পারবেন। অ্যাপটির নাম ‘শটস্পটার’। এই অ্যাপটির মাধ্যমে জানা যাবে কোথায় গোলাগুলি হয়েছে। আর এই অ্যাপটি হাল নাগাদ করে থাকেন স্থানীয় পুলিশরা। তারা কোথাও গোলাগুলির ঘটনা জানা মাত্র স্থানীয় নাগরিকদের অ্যালার্ট করে দেন অ্যাপটির মাধ্যমে।
বিশ্বের কিছু কিছু শহরে রয়েছে আধুনিক পার্কিং ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে ওয়ারলেস সেন্সরের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোথায় আপনার গাড়িটি পার্ক করবেন। এই ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘লা এক্সপ্রেস পার্ক’। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ওয়াইফাই এর সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল দেখিয়ে দেবে আপনি সড়কের পাশে কোথায় গাড়ি রাখতে পারবেন। শুধু তাই নয়, গাড়ি পার্কিংয়ের বিলটিও আপনি আপনার স্মার্ট ফোন থেকে দিয়ে দিতে পারবেন।
ব্রাজিলের রিও ডি জানেরিও শহরে নির্মাণ করা হয়েছে ‘রিও অপারেশনস সেন্টার’। এটি হচ্ছে একটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এখান থেকে পর্যবেক্ষকরা সব সময় আবহাওয়া সম্পর্কে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখেন। যা রিয়েল টাইম। এছাড়া এর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের সড়ক দুর্ঘটনাসহ ইত্যাদি বিষয়েও মনিটর করা যায়। এতে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয় একই সাথে সাধারণ মানুষকেও দ্রততার সাথে তথ্য জানানো সম্ভব হয়।
বিশ্ব বাজারে যানবাহনে বৈদ্যুতিক জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। চলতি পথে যদি গাড়ির বিদ্যুত শেষ হয়ে যায় তাহলে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন এর ব্যবহারকারীরা। তবে স্যান ফ্রান্সিসকোতে এ ধরনের সমস্যায় পড়েন না বৈদ্যুতিক জ্বালানি ব্যবহারকারী যানবাহনের চালকরা। কারণ শহরটিতে রয়েছে ইলেক্ট্রিক ভেইকেল (ইভি) চার্জিং স্টেশন। মজার বিষয় হলো এসব ইভি চার্জিং স্টেশন ব্যবহারে কোনো ধরনের ফি গুণতে হয় না।