বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থানসহ নির্বাচিত ১৭ জন ‘আবরার’
বার্তা ডেক্সঃঃবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের বিচারে যখন ক্যাম্পাস উত্তাল সেসময়ই ছিল স্নাতক শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। নবাগত শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে কিছু দাবি পূরণ করে নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আন্দোলন স্থগিত করে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ১৪ অক্টোবর শোকার্ত ক্যাম্পাসেই অনুষ্ঠিত হয় ভর্তি পরীক্ষা। কাকতালীয়ভাবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারকারী শিক্ষার্থীর নামও আবরার, পুরো নাম কাজী আবরার মাহমুদ। শুধু তাই নয় ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জনকারী আবরার ছাড়াও আরো ১৭ জন আবরার রয়েছেন। এদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১৫ জন, আর অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন দুজন। সবার নামের আগে পিছে ভিন্ন কিছু থাকলেও আবরার শব্দটা তাদের নামে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি বেশ সাড়া ফেলেছে। অনেকেই বলছেন, ‘এমনটা হতেই পারে। একই নামে একাধিক শিক্ষার্থী থাকা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে প্রথম স্থান অর্জনকারীও একই নাম বিষয়টা একটু বেশিই কাকতালীয়।’ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী কাজী আবরার মাহমুদ আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি স্থাপত্য অনুষদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও যারা মেধাতালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন- আবরার আল শহীদ আবির (৬৬তম),আবরার মো. মাহির (৮২তম), আবরার মাহমুদ (১৯৩তম), কাজী আবরার মাহমুদ (২৪২তম), মো. আবরার জাহিন (২৯২তম), আবরার ফাইয়াজ ইরাম (৩০১তম), আবরার জাহিন নিলয় (৩১৪তম), মো. আবরার জাহিন চৌধুরী (৩৪৫), আবরার মিশকাত (৪৭৮তম), আবরার আহমেদ (৬৭০তম), আবরার ফাইয়াজ মাহবুব নাশিক (৭৪৮তম), আবরার হামিম মাসিহ (৮৪৭তম), মোস্তফা, আবরার মাহির (৯১৪তম), আবরার বিন সালাহ উদ্দিন (৯৩০তম) অপেক্ষমাণ তালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন- মো. মাহির আবরার খান (১০৫৪তম), আবরার আবদুল্লাহ দিয়াম (১০৭২তম) এ বছর ১২টি বিভাগে ১ হাজার ৬০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১২ হাজার ১৬১ প্রার্থী। দুই শিফটে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে এক হাজার ৬৫০ জন ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমান তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন আবরার। ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে রুম থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলায় ২০ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।