আকসার আহমদ(ফেসবুক থেকে)-

সিলেটের অজ পাড়া গাঁয়ে স্বামী পরিত্যক্তা স্ত্রীকে তুচ্ছার্থে (আমার তর্জমা যদি ভুল না হয়ে থাকে) ‘এঁঢ়া’ বলে সম্বোধন করতেন অন্য বিদ্বেষ ভাবাপন্ন মহিলারা।  আমার অণুগল্পটি শেষ করার পর এই ব্যাখ্যার কারণ আপনারা সমজে নিবেন আশা করি। টালীটুলা বা বাকশো খেলার কাল গত হওয়ার পর আমি যখন কলেজের কিছুটা উঁচু শ্রেণীতে পড়ি,তখন ওই গত সময়ের এক খেলার সাথীর সাথে দীর্ঘ পর হঠাৎ দেখা হয়ে যায় আমার,এক আত্মীয়ের বাসায়। তিনি সবে শাড়ি পরা সুন্দরী নারীতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাকে পেয়ে আমি স্বভাবতই কিছুটা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠি। কিন্তু তিনি নিজেকে ততটাই আমার দৃষ্টির বাইরেই গুটিয়ে রাখতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছিলেন।
বলে রাখা ভাল,তিনি তার বাড়ি থেকে দুরের ঐ প্রাইমারিতে পড়া লেখা করেছিলেন।  কিন্তু আমি তো আমার টালিটুলা জীবণের প্রিয় ঘনিষ্ঠতার কথা ভুলিনি তখনো। তাই অপারগ হয়ে বলেই ফেললাম– কী ব্যাপার, তুমি আমাকে এত এড়িয়ে চলছো কেন? তিনি তার প্রস্থান উদ্যত মুখ ফিরিয়ে রুদ্র রোষে বললেন– কী বললে তুমি?  অপ্রস্তুত আমি আবারো একই কথা উচ্ছারণ করলাম। একটুও ভাবান্তর না হয়েই তিনি বললেন– আমি এঁঢ়া? আমার হয়েছিল “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি” অবস্থা। তিনি ‘এড়িয়ে ও এঁঢ়া’কে নিজ গুণে একাকার করে ফেলেছিলেন।
সুনামগঞ্জ শহরে আওয়ামীলীগের জনসভায় প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ‘What a audacity you have’ বলার পর ব্যারিষ্টার ইমনকে কি আমার মত কাঁদতে হয়েছিল? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn