ব্রিটেনের নির্বাচনে লড়ছেন ১৪ বাংলাদেশি
ব্রেক্সিট তথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার প্রক্রিয়া জোরদারে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা আরও নিরঙ্কুশ করতে গত ১৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। এই নির্বাচনে বিভিন্ন দলের হয়ে ১৪ জন ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গেছে। এদের আটজন লড়ছেন প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির হয়ে। চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, লিবারেল ডেমোক্রেট ও ফ্রেন্ডস পার্টির হয়ে লড়ছেন একজন করে। গতবারের বিজয়ী রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক ও রুপা হক এবারও লেবারের টিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের সঙ্গে এই দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন আনোয়ার বাবুল মিয়া, মেরিনা আহমদ, রওশন আরা, ফয়সল চৌধুরী এমবিই ও আবদুল্লাহ রুমেল খান। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাজু মিয়া; ফ্রেন্ডস পার্টির হয়ে লড়ছেন আফজল চৌধুরী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আজমল মাশরুর, অলিউর রহমান, আবু নওশাদ ও ব্যারিস্টার মির্জা জিল্লুর।
লুটন সাউথ এলাকা থেকে আশুক আহমেদ নামে আরেক বাংলাদেশিকে মনোনয়ন দিয়েছিল লিবারেল ডেমোক্রেটিক দল। তবে ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্য করায় সম্প্রতি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এবার বাংলাদেশি প্রার্থীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের আগ্রহ বেড়েছে অনেক। বিশেষ করে বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে নির্বাচনের আমেজ রয়েছে পুরোমাত্রায়। এদিকে নির্বাচনী জরিপে এবার এগিয়ে কিছুটা রয়েছে লেবার পার্টি। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে এবার কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। দুইয়ের বেশি দলের সমন্বয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠিত হতে পারে এবার। কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির মধ্যেই হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে নির্বাচনে প্রভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে ইউকে ইনডিপেন্ডেন্ট পার্টি (ইউকেআইপি) ও গ্রিন পার্টির মতো ছোট দলগুলো।
গত সপ্তাহে স্কাই নিউজ প্রকাশিত জরিপের ফলাফল বলছে, এবার কনজারভেটিভ পার্টির ৩৫ শতাংশ, লেবার পার্টির ৩৫ শতাংশ, লিবডেমের ৭ শতাংশ, ইউকেআইপির ১১ শতাংশ এবং অন্য দলগুলোর ১২ শতাংশ ভোটার কিংবা সমর্থন রয়েছে।
ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ডেইলি সানের পাঠক জরিপ অনুযায়ী লেবার পার্টির চাইতে কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র এক শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছে। ব্রিটেনের আরেক শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ডেইলি মেইলের জরিপ বলছে, এখনো কোনো দলকে ভোট দেবেন, এমন সিদ্ধান্তহীন ৪০ শতাংশ ভোটারই ঠিক করে দিতে পারে চূড়ান্ত সরকার গঠনের বিষয়টি।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বাঙালি প্রার্থীর নাম ও আসন: রুশনারা আলী (লেবার, বেথনাল গ্রীন অ্যান্ড বো আসন), টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিক (লেবার, হ্যাম্পস্টেট অ্যান্ড কিলবার্ন), রূপা হক (লেবার, ইলিং সেন্ট্রাল ও একটন), আনোয়ার বাবুল মিয়া (লেবার, ওয়েলউইন অ্যান্ড হ্যাটফিলড), মেরিনা আহমদ (লেবার, বেকেনহাম), রওশন আরা (লেবার, সাউথ থেনেট), ফয়সল চৌধুরী এমবিই (লেবার, স্কইল্যান্ডের এডিনবারা সাউথ ওয়েস্ট), আবদুল্লাহ রুমেল খান (লেবার, পোর্টসমাউথ নর্থ), সাজু মিয়া (লিবডেম, ওয়াইর ফরেস্ট), আজমল মাশরুর (স্বতন্ত্র, বেথনালগ্রীন অ্যান্ড বো), ওলিউর রহমান (স্বতন্ত্র, পপলার এন্ড লাইম হাউজ), আবু নওশাদ (স্বতন্ত্র, ইয়ার্ডলি, বার্মিংহাম), ব্যারিস্টার মির্জা জিল্লুর (স্বতন্ত্র, ইস্টহাম), আফজল চৌধুরী (ফ্রেন্ডস পার্টি, ইস্টহ্যাম)।