ব্রেক্সিট ইস্যু: শঙ্কায় ব্রিটেন
অচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া (ব্রেক্সিট)। অবশ্য ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রস্থান নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। বাকি শুধু নিয়মরক্ষার্থে ইইউ-কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল চিঠি দেওয়া। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে এই আনুষ্ঠানিকতার শুরু করবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রস্থান পূর্ব নির্ধারিত হলেও শঙ্কায় দোদুল্যমান ব্রিটেনবাসী। কী হতে যাচ্ছে ব্রেক্সিটের পরে?
তবে চলমান এই প্রস্থান প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও অন্তত দু’বছর সময় লাগবে। ২৯ মার্চ, ২০১৯ পর্যন্ত ব্রিটেন থাকছে ইইউতে’ই। তবে দু’পক্ষের সমঝোতায় এই সময়সীমা আরও বাড়ানো যেতে পারে। এদিকে ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এখন ত্রিমুখী সঙ্কটের মুখে। প্রথমতঃ দেশের মানুষের চিন্তা দূর করে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া মসৃণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয়তঃ স্কটল্যান্ড চাইছে ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে যেতে। সাথে বেঁকে বসেছে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডও। তারাও চাইছে, ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে গিয়ে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের অংশ হিসেবে ইইউ-তে যোগ দিতে।
আর এত সমস্যা ছাপিয়ে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। ইইউ-এর ‘অভিন্ন বাজার’ থেকে বেরিয়ে গেলে শিল্প ক্ষেত্র ও ব্যবসা-বাণিজ্য কতখানি ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা নিয়ে চিন্তিত পুরো ব্রিটেন। আশংকা পাউন্ডের দাম পড়ে যাওয়ারও। ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলেই চাপ পড়বে অভিবাসীদের উপর। কর্মীর অভাব একটা বড় চিন্তা অনেক শিল্পপতির। রেস্তোরা, নির্মাণ শিল্প এবং স্বাস্থ্যসেবা অনেকটাই ইইউ সদস্যদেশের নাগরিকদের উপরে নির্ভরশীল। তবে ইইউ-এর নাগরিকরা ব্রিটেনে এ বার কতটা স্বস্তিতে থাকতে পারবেন, সেই উদ্বেগও রয়েছে। ব্রেক্সিট সচিব ডেভিড ডেভিসের আশ্বাস, অভিবাসী প্রসঙ্গ উদারতার সঙ্গেই দেখা হবে। ব্রিটেনে থাকা ইইউ-এর বাইরের ‘যোগ্যতাসম্পন্ন’ নাগরিকদেরও ভরসা দেন ডেভিস।