বড় ব্যবধানে জিতলেন টিউলিপ-রুশনারা-রূপা
বাঁ থেকে রূপা হক, রুশনারা আলী ও টিউলিপ সিদ্দিক
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক এবং রূপা হক। বাঙালি বংশোদ্ভুত অপর প্রার্থী রুশনারা আলীও জিতেছেন বড় ব্যবধানে। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বৃটিশ পার্লামেন্টে এমপি নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। সেবার মাত্র ১ হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে জিতলেও দুইবছরের মাথায় আগাম নির্বাচনে টিউলিপ তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬০ ভোটের ব্যবধানে। লন্ডনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নে লেবার দলের প্রার্থী টিউলিপ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ক্লেয়ার লুইচ লিল্যান্ড পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯০৪ ভোট।
রূপা হকও প্রথমবার খুব অল্প ব্যবধানে জিতেছিলেন। প্রথমবার মাত্র ২৭৪ ভোটের ব্যবধানে জিতলেও এবার রূপা প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১৩ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী রূপা হক এবারও লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে বিজয়ী হলেন। এদিকে, লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন ও বো আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত রুশনারা আলী, যেনি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নারী। টিউলিপ সিদ্দিক ও রূপা হকের মতো রুশনারা আলীও অাগেরবারের চেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন এবার। অগেরবার ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতলেও এবার তিনি জিতেছেন ৪২ হাজার ভোটের ব্যবধানে। তিনিও লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। অাগেরবার লেবার পার্টির ছায়া সরকারে শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এই নির্বাচনে মোট ১৪ জন বাংলাদেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন; এর মধ্যে আটজনই লেবার পার্টির হয়ে; বাকিদের চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, লিবারেল ডেমোক্রেট ও ফ্রেন্ডস পার্টির হয়ে লড়ছেন একজন করে। ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হুট করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দেন। নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। কনজারভেটিভ পার্টিই নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পাচ্ছে, সেটি একরকম নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে সংসদে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৩২৬টি আসন না থাকার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।