সুরমা নদীর উৎসমুখ দ্রুত খননের দাবিতে জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসীদে নদী তীরে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।  ভারতের বরাক নদী বাংলাদেশে ঢুকে অমলসীদে পয়েন্টে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে ভাগ হয়েছে। গত কয়েকবছরে অমলীসদ এলাকায় সুরমার উৎসমুখে পলি জমে ভরাট হয়ে পড়েছে। এতে করে বছরে আট মাসই প্রায় পানিশূন্য থাকে একসময়ের খরস্রোতা নদী সুরমা। দীর্ঘদিন থেকেই সুরমার উৎসমুখ খননের দাবি জানিয়ে আসছেন নদীতীরবর্তী বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা। এই দাবিতে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার অমলসীদে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখা, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। এতে স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশ নেন।  মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, উৎসমুখ ভরাট হয়ে পড়ায় সুরমা নদী বছরে আট মাসই পানিশূন্য থাকে। ফলে এই অঞ্চলের কৃষিজীবী ও মৎসজীবীরা বিপাকে পড়েছেন। কমে এসেছে ফসল উৎপাদন। তাই দ্রুত সুরমার উৎসমুখ খননের দাবি জানান বক্তারা।

উৎসমুখ ভরাট হয়ে পড়ায় নদীর গতিপথও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে বলে জানান তারা। সাংবাদিক রাকেশ রায়ের সঞ্চালনায় ও বারোঠাকুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী-এর সভাপতিত্বে মানব্বন্ধন কর্মসূচি শেষে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় মূল বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সাধারন সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো কেমিস্ট্রি ও কেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো : মেহেদী হাসান খান, বাপা’র সংঠক বদর চৌধুরী, এম আর মজুমদার বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র, আওয়ামীলীগ নেতা ডা: আব্দুল কাদির আল আজাদ, নোয়াবাড়ি বয়েজ ক্লাবের জাহেদ আহমদ, বারঠাকুরী সমাজ কল্যান পরিষদের উপদেষ্টা সভাপতি হিজবুর রহমান, সমাজকর্মী মো রিয়াজ উদ্দিন ও মো:শাহান শাহ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn