কলেজছাত্রকে বিয়ের ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর মানসিক চাপে পড়ে শিক্ষক খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে রোববার সকালে খাইরুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের পর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই থাকতেন খায়রুন। ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ২০২১ সালের ২৪ জুন মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের ছয় মাস পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ছয় মাস পর জুলাই মাসে ঘটনাটি জানাজানি হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাদের বিয়ের খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়; সম্প্রচার করা হয় ভিডিও সাক্ষাৎকারও। এতে ‘টক অফ দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয় বিষয়টি। খাইরুনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে রোববার দুপুরে সাংবাদিকরা জানতে চান নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহার কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক ও ছাত্রের প্রেমের কাহিনি ছড়িয়ে পড়লে দুজনই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছিলেন; কিন্তু সামাজিক, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় তাদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। ‘তাদের বিয়ের পর বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে অনেক আলোচিত ও সমালোচিত হয়। মানসিক এ চাপের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ’৪২ বছর বয়সী খাইরুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ২২ বছরের মামুনের বাড়ি উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১২৪ বার