ছবি : মো. মোজাম্মেল হক
সিলেট:: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার গ্রেফতার নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। সোমবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা গতকাল (রোববার) ইনফরমেশন পেয়েছিলাম কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে সে পালিয়ে যেতে পারে। এজন্য আমরা সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। বিশেষ করে এই টিমে নেতৃত্ব দেন কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ থানার ওসিসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পুলিশের ডিআইজি ড. বেনজীর আহমেদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্যারের প্রত্যক্ষ নির্দেশ ছিল এ বিষয়ে। এছাড়া সিলেটের রেঞ্জ ডিআইজি স্যারও সার্বক্ষণিক এই বিষয়ে পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছিলেন। প্রেস ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার আরও বলেন, ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে আজ সোমবার সকাল ৯টায় সাদা পোশাকে সিলেট জেলা পুলিশ আকবরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশের কাছে খবর আসে- আকবর ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। এ খবর পেয়েই কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
সোমবার রাত ৯টার দিকে পিবিআই’র কাছে আকবরকে হস্তান্তর করা হবে বলে এসপি জানানা। তিনি বলেন, পরবর্তী আইন পদক্ষেপ পিবিআই নেবে। প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অপরাধ করে কারো পার পাওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধী যেই হোক, যে বাহিনীর-ই হোক তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (সাময়িক বরখাস্তকৃত) গ্রেফতারের পর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তাকে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। বিকেল ৩টার দিকে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসার জন্য পুলিশের একটি দল আকবরকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
এদিকে, পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসার খবর শুনে এর সামনে উৎসুক জনতার ভীড় তৈরি হয়। সোমবার বিকেল থেকে হাজারও মানুষ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগানের মাধ্যমে আকবরের ফাঁসি দাবি করেন। এসময় ভীড় করা জনতাকে শান্ত হতে আহবান জানান এসপি ফরিদ উদ্দিন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬১ বার