ভাস্কর্যের দরকার কি
মোহাম্মদ হোসেন (ফসবুক স্ট্যাটাস থেকে) –
ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে দেশ বিক্রি করে দেবে। ভারতের কাছে। ৪৬ বছরেও দেশ বিক্রি করতে পারে নাই আওয়ামীলীগ। কেমন বিক্রেতা বুঝেন ! দেশ বিক্রি করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরানোর ঘটনায় এক শ্রেণির লোক ভেঙ্গে পড়েছেন । দেশ নাকি খাদের কিনারে চলে গেছে । যে কোন সময় তলিয়ে যেতে পারে । গ্যারান্টি দেশ তলিয়ে যাবে না। গ্রিক থেমিসের ভাস্কর্য বাংলাদেশে বানানোর যুক্তি কি? ওসব দেশ কি আমাদের রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বানায় ? বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু। ধর্ম অন্ধ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক জায়গায় ভাস্কর্য আছে। কই মানুষ তো ভাস্কর্য ভাঙতে বলেনি। এখন দাবি উঠছে কেন? এর প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বুঝতে হবে। আপনারা কথায়-কথায় হেফাজতি পোশাক পরিয়ে দেন যাকে-তাকে। পরাতে-পরাতে বঙ্গবন্ধু কন্যা পর্যন্ত এসে ঠেকেছেন। আপনাদের উদ্দেশ্য কি ভাল ? প্রগতির নামে, প্রগতির পথ-ই রোধ করছেন আপনারা। স্বাধীনতার মুল শক্তিকে আঘাত করে, ক্ষেত্র তৈরি করছেন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির উত্থানকে। একসময় যেমন সমাজতান্ত্রিক শক্তির ভেতর আশ্রয় পেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। আপনারা কি সেই পথেই হাঁটছেন না ? শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাকে সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়াও বুঝতে হয়। কৃষক শস্য ফলায়। দিন শেষে প্রার্থনা করে। তার রয়েছে ধর্মীয় চেতনা। তিনি তো তা এড়াতে পারেন না। আপনি পারেন। আপনি বড়বড় ডিগ্রি নিয়েছেন। সংস্কৃতির নামে সন্ধ্যায় বসেন রঙ্গিন বোতল নিয়ে। পরকীয়া করেন। মসজিদ, মন্দিরে যান না। আপনি বুঝবেন, মাটিঘেঁষা মানুষের কথা? । তার বোধের? তার চেতনার? আমি তো মনে করি, প্রধান মন্ত্রীর অবস্থান সঠিক। প্রধান বিচারপতির অবস্থান সঠিক। এই জন্য তাদের সংবর্ধনাও দেয়া যেতে পারে। সংবর্ধনা দেয়া হোক। মানুষ তার গৌরব, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ নিয়ে বাঁচুক, হাতে হাত ধরে, প্রেমে, প্রার্থনায়, এটাই কামনা। ভালবাসা।