ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি ‘আম্মা আমি গেইমও উঠছি, দোয়া কইর’
গত বছর ছাতকের উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদ নাজিমকে ইতালি পাঠানোর কথা বলেন। এরপর থেকে নাজিম পরিবারের কাছে বায়না ধরেন ইতালি যাবেন। তাঁর মা-বাবা প্রথমে রাজি না হলেও পরে ছেলের পীড়াপিড়িতে রাজি হন। শামীমের সঙ্গে সাত লাখ টাকায় চুক্তি হয়। কথা ছিল প্রথমে অর্ধেক এবং ‘গেমে’ ওঠার পর বাকি টাকা দেওয়া হবে। এরপর গত বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রামের আরও দুই তরুণ শরিফ, শহীদসহ নাজিম বাড়ি থেকে ঢাকায় যান। পরে ঢাকা থেকে লিবিয়া। নাজিমের সঙ্গে লিবিয়া যাওয়া শরিফ গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই বাড়িতে ফিরে আসেন। শরিফের বরাত দিয়ে নাজিমের চাচা শাহীন আহমদ জানান, সেখানে বাংলাদেশিদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়। ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। কোনো কথা বললেই চলে শারীরিক নির্যাতন। নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া মাহবুবুল করিমের ভাই রেজাউল করিম জানান, মাহবুব ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন। সাত ভাই, দুই বোনের মধ্যে মাহবুব ছিলেন চতুর্থ। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে তিনি দেশে এসে আর ভারতে যাননি। পরে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এক দালালের মাধ্যমের ইতালি যাওয়ার জন্য রওনা হন। মাহবুবও গত বছরের মে মাসে বাড়ি ছাড়েন। লিবিয়া যাওয়ার পর মাঝেমধ্যে পরিবারের সঙ্গে কথা হতো। কিন্তু ছয় মাস ধরে যোগাযোগ ছিল কম।