মদ,নারী- এহেন অপকর্ম নেই যা সৌদি রাজপরিবারে হয় না: যুবরাজের স্ত্রী
আমিরা সম্প্রতি হেলোউইন পার্টির উদাহরণ তুলে ধরেন। বলেন, সেই পার্টিতে সর্বসাকুল্যে দেড়শ’ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। যাদের ভেতরে কূটনৈতিক কর্মকর্তারাও ছিলেন। সেখানে সেদিন যা হয়েছে তা বাইরের দেশের কোনো নাইট ক্লাবের থেকে আলাদা ছিল না। সৌদি আরবে মদ নিষিদ্ধ হলেও সেই পার্টিতে তরল পদার্থটির বন্যা বয়ে গিয়েছিল। সেই ডিজে পার্টিতে ওয়াইন, জুটিদের নাচ, নানান ধরনের পোশাক পরা সবই হয়েছিল। আমিরা জানান, সৌদি আরবে মদ নিষিদ্ধ হওয়ায় কালো বাজারে এটির প্রচুর দাম। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সেখানে এক বোতল স্মিরনফ ভদকা কিনতে গেলে প্রায় দেড় হাজার রিয়াল গুনতে হয়। টাকার হিসেবে যা প্রায় ৩৩ হাজার। কখনও কখনও সেসব পার্টিতে আয়োজকেরা আসল মদের বোতলে স্থানীয় মদ ঢুকিয়ে সার্ভ করে থাকে। স্থানীয় সেই সব ওয়াইনকে তারা সিদ্দিকী নামে চেনে। আমিরা বলেন, সৌদি আরবে দাসপ্রথা এখনও রয়েছে। তবে সেটি গোপনে এবং অন্যভাবে হয়ে থাকে। রাজপরিবারের কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি সেখানে দাস বিক্রি করে থাকেন। আর এসব দাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আনা হয় শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া থেকে। যেসব শিশুকে এখানে বিক্রি করা হয় তারা কখনই মালিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোথাও যেতে পারে না। এমনকি এশিয়ার দাসীরা প্রায় ক্ষেত্রেই নিজেদের বন্দি বলেই মনে করেন। সেখানে অল্প বয়সী মেয়েদের আলাদা করে রাখা হয় এবং তাদের উপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়।