মসজিদের দানবাক্সে এবার সোয়া কোটি টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার এক কোটি সাতাশ লাখ ছত্রিশ হাজার চার শত একাত্তর টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার বিকালে গণনা শেষে বিপুল পরিমাণ দানের এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ এই নগদ টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। দান সিন্দুক পথকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন, সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদ, সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদউল্লাহ, সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলুসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ। পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক খুললে প্রতিবারেই কোটি টাকার উপরে পাওয়া যায়। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনোবাঞ্চা পূর্ণ হয়। সেজন্য দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে দান করে থাকেন। সর্বশেষ গত ২৬শে আগস্ট মসজিদের ৮টি দানসিন্দুক খুলে গণনা করে সর্বোচ্চ এক কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেই অঙ্কও ছাড়িয়ে গেছে। জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদটির অবস্থান। এ মসজিদে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করেন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়। টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদ জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার এক কোটি সাতাশ লক্ষ ছত্রিশ হাজার চার শত একাত্তর টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সাথে যোগ করে সিন্দুকে রেখে দেয়া হয়েছে।