মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জেলায় সৎ মাকে হত্যার দায়ে সারোয়ার হোসেন সবুজ ওরফে বাবু (২৭) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন ওই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দণ্ডিত বাবু নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া কান্দাপাড়া এলাকার হযরত আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকেই বাবু হাজতবাসে রয়েছে। এ নিয়ে ৮ দিনের ব্যবধানে একই আদালতে ৪ মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলো। অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু জানান, ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সকালে নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া কান্দাপাড়া এলাকার গৃহকর্তা হযরত আলী বাড়িতে না থাকার সুবাদে তার দ্বিতীয় ৩ সন্তানের জননী স্ত্রী রাশিদা বেগমকে প্রথম স্ত্রীর সন্তান সারোয়ার হোসেন সবুজ ওরফে বাবু তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এবং রশি দ্বারা বেঁধে বাড়ির পাশের ক্ষেতে নিয়ে খড় দিয়ে ঢেকে রাখে। একই দিন ওই ঘটনায় রাশিদার বড়ভাই রজব আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় সৎ ছেলে বাবুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরের দিনই থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় বাবু এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর একমাত্র বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) মোখলেসুর রহমান। মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাদী, আসামির জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকসহ ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দোহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বাবুর বিরুদ্ধে ওই রায় ঘোষণা করা হয়। মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু ও আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার নন্দী পরিচালনা করেন।