বার্তা ডেস্ক :: চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় গত জুলাই মাসে এসআই হেলাল কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে সোর্সদের নিয়ে অভিযানে নেমে এক বাড়িতে ঢুকে টানাহেঁচড়া করলে এক নারী মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর ক্ষোভে কিশোর মারুফ আত্মহত্যা করে। সে ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল খানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার হেলালকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর আগে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। সেখানে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ঘটনার সময় হেলাল নগরের ডবলমুরিং থানায় কর্মরত ছিলেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলাল খান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সাদা পোশাকে সোর্স নিয়ে ওই কিশোরের বাড়িতে গিয়েছিলেন, যার কোনো কারণ তিনি জানাতে পারেননি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই রাতে ডবলমুরিং থানার বড় মসজিদ গলিতে তিনজন সোর্স নিয়ে অভিযানে যান সাদা পোশাকধারী ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক হেলাল খান। এ সময় তিনি থানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষককে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় অভিযানে যাওয়ার বিষয়ে অবহিত করে যাননি। সেখানে গিয়ে অভিযানের নামে স্কুলছাত্র সালমান ইসলাম মারুফের মা-বোনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে টানাহেঁচড়ার মধ্যে মারুফের বোন মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সময় ডবলমুরিং থানার পুলিশের অন্য একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মারুফের মা-বোনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে মা-বোনকে পুলিশ নিয়ে গেছে—এমন তথ্য জেনে রাতেই আত্মহত্যা করে মারুফ।- কালের কণ্

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn