মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে: জাতিসংঘ
বার্তা ডেস্ক :: রাষ্ট্রহীন করে রাখা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে মিয়ানমারের প্রতি জোর দাবি জানালেন জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান মিশনের তদন্ত কর্মকর্তা রাধিকা কুমারাস্বামী। একই সঙ্গে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সুকিকে গণতান্ত্রিক হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রাখাইনে ২০১৭ সালের আগস্টে এক ডজন সেনা ও পুলিশ চৌকিতে দেশটির রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হামলা চালালে কিছু হতাহত হয়। এরপরই সেনাবাহিনী সেখানকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। মিয়ানমার থেকে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। এর বছর চারেক আগে বাংলাদেশে আরও চার লক্ষ রোহিঙ্গা এসে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিকতার খাতিরে এই এগারো লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে। মিয়ানমার এই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে গড়িমসি করছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার তদন্ত করেছে জাতিসংঘ। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ওই তদন্ত শেষে জানিয়েছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে। ওই মিশনের অন্যতম সদস্য রাধিকা। দ্য হেগে রাষ্ট্রহীন মানুষ বিষয়ক এক বৈশ্বিক সম্মেলনে রাধিকা বলেন, রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের শিকড় রয়েছে মিয়ানমারে। তাদের অবশ্যই নাগরিকত্ব দিতে হবে মিয়ানমারকে।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করলেও বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার মুসলিম রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। কুমারাস্বামী বলেছেন, “কেরিয়ারে বিভিন্ন স্থানে বহু নৃশংসতা দেখেছি আমি। কিন্তু রোহিঙ্গা মহিলাদের ধর্ষণ ও তাদেরকে জোর করে উৎখাতের ঘটনা আমার অন্তরাত্মাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রহীনতাই হল ভয়াবহ রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ।” ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মায়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করার আহ্বান জানিয়েছে। অবশ্য জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে ,মিয়ানমার। সৌজন্যে : ইত্তেফাক